শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

৫২ বছরেও মেলেনি সেতু, সাঁকো ও ড্রামে করে নদী পারাপার!

আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৬

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মেলেনি সেতু। স্থানীয়রা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো ও ড্রামের ভেলায় করে পার হচ্ছেন নদী। উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরামপুর গ্রামে এমনই দৃশ্যের দেখা মেলে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নীলকমল নদীতে এক কিলোমিটারের মধ্যে ৮ থেকে ১০টি বাঁশের সাঁকো ও দুটি ড্রামের ভেলায় অসহনীয় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি নিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার মানুষ পাড় হচ্ছেন। দড়ি দিয়ে ড্রামের ভেলা টেনে নদী পারাপার তাদের নিত্য সঙ্গী। এখন পানি কম থাকায় পারাপারে সমস্যা কম হলেও বর্ষা মৌসুমে ভীষণ ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় ড্রামের ভেলা ভেসে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। তখন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে পারাপার করতে হয়। অনেক সময় পানিতে পড়ে যায় তারা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষিকাজে জড়িত মানুষ এবং রোগীদের এ সময় সমস্যায় পড়তে হয়।

জনপ্রতিনিধিদের সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রা প্রতি বছর নিজেদের উদ্যোগে ড্রামের ভেলা ও বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুগের পর যুগ পারাপার হচ্ছেন। যেন দেখার কেউ নেই। ওই নদীতে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

স্থানীয় রফিকুল ইসলাম ও ফজলুল করিম জানান, প্রায় ৫০০ পরিবার নীলকোমল নদীর ওপারে বসবাস করছেন। আর এই পাড়েরও প্রায় দেড় থেকে দুইশ পরিবার নদীর ওপারে গিয়ে কৃষি জমিতে চাষাবাদ করে থাকেন। কি বলবো কষ্টের কথা! নির্বাচন এলে জনপ্রতিনিধিরা ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচনে জয়ী হলে তাদের দেখাও মেলে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীরা প্রতি বছর বছর নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো ও ড্রামের ভেলায় পারপার হচ্ছি। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ২ থেকে ৩ হাজার মানুষ জরুরি কাজের জন্য ড্রামের ভেলা ও বাঁশের সাঁকোয় নদী পারাপার হয়ে থাকেন। সেইসঙ্গে আমাদের ছেলে-মেয়েদের পারাপারেও অনেক কষ্ট।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ বলেন, সরেজমিনে গিয়ে আপাতত মানুষজনের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত একটি টেকসই বাঁশের তৈরি সাঁকো নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। 

ইত্তেফাক/এবি