পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মু. সাইদুজ্জামান মামুনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে মু. সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, গতকাল সবুজ ছায়া গ্রুপের চেয়ারম্যান বাসেদ সিমন সংবাদ সম্মেলন করেন এবং সেখানে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করেন। যা উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাভাবিক কর্মযজ্ঞকে বিব্রত করে। গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কোনোভাবে আমি ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের গহিণখালী বাজারে উপস্থিত বা ওখানের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। যা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ রাঙ্গাবালীর অনেকেই জানেন। ওখানকার অপ্রীতিকর ঘটনার কথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা সর্ব প্রথম আমাকে অবহিত করেন। যেহেতু আমি ছিলাম না সেহেতু আমার নেতৃত্বে কোনো ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং আমার দলের জনপ্রিয়তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত শক্তির একটি হীন চক্রান্ত বলে আমরা মনে করি। কারণ আমরা পরবর্তীতে শুনতে পেরেছি সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে যারা নৌকার বিরোধীতা করেছে, তারা সঙ্গবদ্ধভাবে বাসেদ সিমনের কাঁধে ভরকরে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ প্রচারণার নামে অশান্ত পরিবেশ তৈরি করে একটা অংশের সমর্থন পাওয়ার আসায় পরিকল্পিতভাবে বাসেদ সিমনের সঙ্গে থাকা লোকজন এ ঘটনা ঘটায়। যার সঙ্গে আমার নূন্যতম কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বাসেদ সিমন আমার জনপ্রিয়তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করছেন।’
এ ছাড়াও বাসেদ সিমন অভিযোগ করেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনকে এক বছর আওয়ামী লীগ অফিসে আমি আসতে দেই না একথা প্রমাণ করতে পারলে আমি দল থেকে পদত্যাগ করব। অথচ গত বছরের ২৮ নভেম্বর আমাদের নেতা মহিববুর রহমান মহিব ভাই নৌকা প্রতীক পাওয়ার পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠান হয়। যেখানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তিনি (দেলোয়ার হোসেন) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরবর্তী সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল মার্কাকে সমর্থন করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এরপর নির্বাচন শেষ হলেও তিনি আর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আসেন না। এ দায় সাধারণ সম্পাদকের নেওয়ার কথা না।
এ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বাসেদ সিমন এমপির নির্বাচনের খরচ বহন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এদিন সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।