সময়ের সঙ্গে বয়স বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ব্যস্ত জীবনধারা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও ঘুমের অভাবের কারণে বার্ধক্যের লক্ষণগুলি বয়সের তুলনায় অনেক আগে প্রকাশ পায়। আপনারাও যদি বার্ধক্যের কিছু প্রাথমিক লক্ষণ খেয়াল করেন, তাহলে খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার রাখতে পারেন। এসব খাবার স্বাভাবিকভাবেই শরীরের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে।
বাইরের খাবার, দূষণ বা রাসায়নিকের কারণে অনেক সময় শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করে। শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে ডিটক্সের বিকল্প নেই। কিছু খাদ্য উপাদান এই ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করতে পারে। যেমন:
লেবু
লেবুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি হজম প্রক্রিয়ায়ও বেশ উপকারী। লেবু পানি মিশিয়েও পান করতে পারেন। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
রসুন
রসুনে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে, যা লিভারে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি চুলের জন্যও বেশ উপকারী। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন রাখতে চেষ্টা করুন, এটি আপনার শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করবে।
বিটরুট
বিটরুটে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি লিভারের জন্যও বেশ উপকারী। এটি প্রাকৃতিকভাবে রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এতে থাকা নাইট্রিক অ্যাসিড রক্তের টক্সিন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। রক্ত পরিষ্কার করতে নিয়মিত বিটরুটের রস পান করতে পারেন। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
হলুদ
হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণের কারণে বহু বছর ধরে ওষুধি হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে থাকা কারকিউমিন উপাদান লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এটি আপনাকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে। অতএব আপনার খাদ্যতালিকায় হলুদ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন যা আপনার শরীরের ডিটক্সিফিকেশন করতে ভূমিকা রাখে।
ধনে পাতা
ধনেপাতা শুধুমাত্র খাবারে স্বাদই বাড়ায় না, এটি কোলেস্টেরল কমাতে এবং হজমেও উপকারী। এর সঙ্গে এটি শরীর থেকে ভারী ধাতু অপসারণ করতেও সাহায্য করে। নিয়মিত ধনে পাতা খেলে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।