বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

ঘরের সাজসজ্জায় সজীবতার ছোঁয়া 

আপডেট : ১৬ মে ২০২৪, ২৩:৪৫

বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন হবে নতুন ঋতু আসবে তারা থাকবে আবার অতিথির মতো তারা চলেও যাবে। তবে সবসময় ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে অন্দরের সাজসজ্জা করাটা একটু কঠিন সেইসঙ্গে ঝামেলাও বটে। তাই সব ঋতুতে অন্দর থাকুক রঙ্গিন, সতেজ ও সজীব। 

প্রথমেই পর্দা 
ঘরের পর্দার রংগুলো যাতে উজ্জ্বল হয়। খুব ভারি পর্দা বা খুব হালকা পর্দা ব্যবহার না করাই ভালো। খুব ভারি পর্দা ব্যবহার করলে গরম অনুভূত হবে। বাতাস আসবে না। আর খুব হালকা পর্দা ব্যবহার করলে তাপ অনুভূত হবে। তাই সেই ক্ষেত্রে সিল্কের পর্দাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। যদি সব ঋতুতেই ব্যবহার করা হয়। সাদা, হলুদ, কমলা, গোলাপি, আকাশি, হালকা বেগুনি এই রঙগুলোকে পর্দার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। 

ঘরের কোণে ফুল 
ফুল ঘরের শোভা বাড়ায়, সৌন্দর্য বাড়ায় ও খুশবু ছড়ায়। তাই প্রতিটা ঘরেই ফুলদানির মধ্যে কাঁচা ফুল রাখলে ঘরে সৌন্দর্য বাড়বে দ্বিগুণ।  এছাড়াও সতেজ ফুল দেখলে বাহিরে থেকে আসা যে কোন মানুষেরই মনটাও সতেজ হয়ে ওঠে। 

বিছানার সাজ 
বিছানায় অবশ্যই উজ্জ্বল এবং হালকা রঙের চাদর বিছান। এবং চাদরের বিপরীত রঙের তিন চারটা কুশন রাখুন। যাতে করে বিছানাটা দেখতে আকর্ষণীয় লাগে। এছাড়া অতিরিক্ত কোন স্রাগ বিছানায় রাখার দরকার নেই। এতে করে গরম অনুভূত হতে পারে।  আর বিছানাটা দেখতেও ছোট লাগতে পারে। হালকা রঙ যদি ব্যবহার করা হয় বিছানায় তাহলে ঘর দেখতে খানিকটা বড় লাগবে। 

বারান্দায় বিশেষ নজর 
ইট পাথরের এই শহরে বারান্দা যেন নিঃশ্বাস নেওয়ার একমাত্র জায়গা হয়ে গিয়েছে। যেখানে সময় পেলে একটু আরাম আয়েশ করে বই পড়া যায় অথবা প্রিয়জনের সাথে চায়ের আড্ডায় সময় কাটানো যায় নয়তোবা নিজের প্রিয় গাছগুলোকে যত্ন নেওয়া যায়। বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটানোর জন্য কিন্তু বারান্দা খুবই সুন্দর একটা জায়গা। তাই ঘরের  বারান্দায় বিশেষ নজর দেওয়াটা জরুরি। বারান্দায় বসার জন্য কোন সুন্দর জায়গা তৈরি করতে পারেন অনেকে বারান্দায় দোলনাও রাখেন। চাইলে একটা ফ্লোর মেটও রাখতে পারেন সেখানে কিছু কুশল রাখা যেতে পারে আর চারিদিকে সবুজ গাছে ঘেরা সবুজ বারান্দা। বিভিন্ন গাছে ফুটে আছে নানান ধরনের মৌসুমি ফুল। বারান্দা যেন শান্তির নিঃশ্বাস না হয় একমাত্র আস্থা। 

বসার ঘর 
বসার ঘর মানুষের মানসিক রুচির পরিচয় দেয়। সবারই উচিত বসার ঘরকে যতটা সম্ভব মনোরম করে সাজানো। বসার ঘরের পর্দায় সাদা, আকাশী, গোলাপি, কুসুম হলুদ এই রঙ গুলোকে প্রাধান্য দিন। দেয়ালে দড়ির তৈরি রাগ এবং দড়ি তৈরি আয়না লাগাতে পারেন। বর্তমান সময়ে এই দুটো বিষয়ে খুবই জনপ্রিয়। ঘরের যে কোন একটি কর্নার দেশীয় শিল্প দিয়ে সাজাতে পারেন। যেমন- রিক্সা, বেবি ট্যাক্সি, মাটির পুতুল প্রভৃতি জিনিসপত্র। সোফায় হালকা রঙের নানান রকমের কুশন রাখুন। টি -টেবিলে কিছু কাঁচা ফুল রাখতে পারেন। এতে করে ঘরে সুন্দর শোভা ছড়াবে।

ঘরের আসবাব 
ঘরে অতিরিক্ত আসবাবপত্র রাখার থেকে বিরত থাকুন। আসবাব ঘরের সৌন্দর্য কমায়। ঘরকে ছোট করে এবং ঘরের সামঞ্জস্যতা নষ্ট হয়। এছাড়াও ঘরের এক একটা আসবাবপত্র একেক রঙের যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। নিজের সাধ্য এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সুন্দরভাবে ঘরকে সাজানো যায়।  কারণ দিনশেষে ঘর হল শান্তির জায়গা সারাদিনের অবসাদ ক্লান্তি সব ভুলে প্রশান্তির নিশ্বাস নেওয়ার নামই হলো ঘর।

ইত্তেফাক/এআই

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন