প্রকাশনার ৫০ বছর পূর্ণ করায় সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশন- নোয়াবের সম্মাননা পেলো দৈনিক ইত্তেফাক। এছাড়া প্রকাশনার ২৫ বছর ও ৫০ বছর পূর্তি হওয়ায় আরও ৫টি সংবাদপত্রকে নোয়াব সদস্য সম্মাননা-২০২৪ দেয়া হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান ক্লাবের দ্য ক্রিস্টাল প্যালেস হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন অতিথিদের কাছ থেকে সদস্য সম্মাননা গ্রহণ করেন। নোয়াব সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন- সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম।
৫০ বছর পূর্ণ করা পত্রিকার মধ্যে সংবাদের পক্ষে নিহাদ কবির, দৈনিক আজাদীর পক্ষে নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেক সম্মাননা গ্রহণ করেন। এছাড়া ২৫ বছর পূর্ণ করা দৈনিক প্রথম আলোর পক্ষে সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী সম্মাননা গ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমরা গঠনমূলক সমালোচনায় বিশ্বাসী। সংবাদ যদি সঠিক ও তথ্যবহুল হয় এবং ভুল তথ্য না থাকে তাহলে সেটিকে আমরা সব সময় সাধুবাদ জানাই। সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা থাকতে হবে। সেখানে যেন নিজস্ব মতামত বা ইচ্ছা না থাকে।
তিনি বলেন, সংবাদপত্র যেন জনমত তৈরির জায়গা থেকে সরে না যায়, যে পরিবেশেই কাজ করি না কেন। কারণ গণমাধ্যমকে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হয়। জাতির পিতার সংগ্রাম আন্দোলনে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যম আজও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমাদের প্রত্যাশা ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, আমরা ক্রিটিসিজম শুনতে চাই। আমরা চাই এ ধরনের পরিবেশ বজায় থাকুক।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম সূচক নিয়ে যে র্যাঙ্কিং প্রকাশ হয় তাতে ত্রুটি আছে। র্যাঙ্কিংয়ে যেসব তথ্য নেয়া হয় সেখানে অনেক ভুল আছে। বিশ্বস্ততার অভাব আছে। কিছু ঘটনা ঘটে তা পুরো দেশের ঘটনা নয়।
তিনি বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতে রয়েছে। তবে আমরা এখানে চ্যালেঞ্জের কথা অস্বীকার করবো না। সমালোচনাকে সরকার সাধুবাদ জানায়, আপনারা সমালোচনা করেন তবে তা যেন বস্তুনিষ্ঠ হয়।
সভাপতির বক্তব্যে নোয়াব সভাপতি একে আজাদ বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে আমরা কোথায় নেমে এসেছি তা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের। আমরা সরকারের বিপক্ষে না। কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করার সময় নোয়াবের পক্ষ থেকে বারবার চিঠি দেয়ার পরও আমাদের অন্ধকারে রেখে আইনটি পাস করা হয়েছে। পরবর্তীতে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টও একই নিয়মে করা হয়েছে। আমরা চাই, নোয়াবসহ সবাই মিলে এটা নিয়ে কাজ করতে, কথা বলতে। তারপর যেন এটি আইনে পরিণত হয়। তাহলে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারবো।