ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশিদের উদ্যোগে। দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগালে হয়েছে এই ঈদের জামাত। পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৬ জুন) বাংলাদেশিদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে অংশ নেন কয়েক হাজার মুসল্লি।
আটলান্টিক মহাসাগর তীরের এই দেশটি ২১টি মসজিদ রয়েছে, যার বেশির ভাগ চালু হয়েছে বাংলাদেশি মুসলানদের উদ্যোগে।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও লিসবন সেন্ট্রাল মসজিদ, পোর্তু, সেতুবাল, কাসকাইস, ভিলা নোভা দ্যা মিলফনতেস, তাভিরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা।
বাংলাদেশিদের পাশপাশি ভারত, পাকিস্তান, মোজাম্বিক, আলবেনিয়া, অ্যাঙ্গলা, মরক্কোসহ অন্যান্য দেশের মুসলমানরা এসব ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন।
বেশির ভাগ অমুসলিম দেশে মসজদে নামাজ পড়ার অনুমতি মিললেও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ পড়ার অনুমতি পাওয়া কঠিন।
তবে পর্তুগালে বাংলাদেশি মুসলমানদের উদ্যোগ বেশ কয়েক জায়গায় খোলা মাঠে বা পার্কে ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে লিসবনের মার্তি মুনিজ এলাকার মেট্রো স্টেশনে পাশের পার্কে ঈদের জামাত আয়োজন করা হচ্ছে। দেশটির সরকার অনুমতির পাশাপাশি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেছে।
পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ এসোসিয়েশনের প্রেসিডিন্ট রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, ২০১১ সাল থেকে এখানে এই পার্কে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হচ্ছে বাংলাদেশিদের উদ্যোগে। বাংলাদেশি ছাড়াও অন্যান্য দেশের মুসলমানরাও এই ঈদের জামাতে অংশ নেন। পর্তুগাল সরকার খোলা স্থানের নামাজের অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছো। এটি ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত।’
এবার পর্তুগালে ১৭টি জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে কুলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রবাসীরা। পরে কোরবানীর পশু জবাই করেন অনেকে। কেউ কেউ গরুর পাশাপাশি ছাগল কিংবা ভেড়াও কোরবানি করেন। ইউরোপে খোলা জায়গায় পশু জবাই করার সুযোগ না থাকায় বিভিন্ন খামার ও কসায়খানায় পশু কোরবানি করেন বাংলাদেশ পাকিস্তান, আফ্রিকা, ভারত, নেপালসহ পর্তুগালে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসলমানরা। এছাড়া দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পোর্তোতে মিনিসিপালিটির বাস্কেটবল প্যাভিলিয়নে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়।
পর্তুগাল প্রবাসী সোহেল রানা বলেন, দেশে পরিবার ছাড়া ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণ হয় না। তারপরও ঈদের জামাতে অংশ নেয়া আনন্দের। এখানে বাংলাদেশিরা মিলে ঈদ উদযাপন করছি।
আরেক প্রবাসী তরিকুল ইসলাম বলেন, ইউরোপের অন্যতম বড় জামাত হচ্ছে পর্তুগালে। সেই জামাতে অংশ নিতে পেরেছি, এটা ভালো লাগছে। এখানে সবার সাথে নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।