বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি প্রবাসী মফিজুরের জীবনে

আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৫৮

সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার দুভাগ গ্রামের মফিজুর রহমান। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও পারিবারিক দুরবস্থা নিরসনে পঁচিশ বছর আগে পাড়ি জমান দুবাইয়ে। সেইসঙ্গে সম্মুখীন হন 'কীভাবে ভিসা পেলেন', 'কী করতে এলেন', 'কাজ করতে পারবেন কিনা'-সহ নানা প্রশ্নের। এরপরও থেমে যাননি মফিজুর। দুই যুগ ধরে প্রবাসে কাজ করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশের মুদ্রায় মাত্র ত্রিশ হাজার টাকা বেতনে আমিরাতের উম্মুল কাইয়ুম শহরে 'ডানা মোটরস্' নামে মোটরসাইকেল কোম্পানিতে কাজ করছেন মফিজুর। তার সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে দেখা যায়, সাদামাটা মানুষ, খুড়িয়ে খুড়িয়ে অনেক কষ্টে হাঁটেন। সেভাবেই সামনের চেয়ারে গিয়ে বসলেন। জীবন নিয়ে প্রশ্ন করতেই নিচু স্বরে বললেন, ত্রিশ হাজার টাকায় সৎভাবে সংসার চলে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। 

স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে মফিজুর রহমানের সংসার। ছেলে ও মেয়েদের পড়াশোনা করাচ্ছেন। বললেন, এই প্রবাসে দেখছি বেশি আয়ের লোভে ধৈর্যহীন হয়ে অনেকে বেকার হয়ে পড়ে। পরে সময়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে দেশের সুনাম নষ্ট করে। প্রতিষ্ঠানের মালিক মজিবুর রহমান চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ভিসা ও কাজে সমস্যার হওয়ার কথা জানা সত্ত্বেও তিনি আমাকে সহায়তা করেন। 

মজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা যে কি পরিমাণ বাংলাদেশের কর্মী সংকটে আছি তা বলার মতো না। একই কথা বললেন ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ভাই আমার লাখ লাখ দিরহামের মেশিনারিজ অকেজো পড়ে আছে শুধু নিজ দেশের শ্রমিকের অভাবে। অন্য দেশের শ্রমিকরা বাংলাদেশের মতো কঠোর পরিশ্রম, সততা, নমনীয়তা, অল্পতেই তুষ্ট থাকাসহ অনেক কিছুতেই পিছিয়ে। এজন্যই আমাদের দেশের মানুষের চাহিদা সবখানেই বেশি। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উপদেষ্টার মাধ্যমে আমিরাতের সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, যেন সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুত ভিসা জটিলতা দূর ও ভিসা ট্রান্সপারেসি চালুসহ সব সহায়তা আবার চালু করা হয়।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি
 
unib