চলতি বছরের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসের মান অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে ঢাকার বায়ুর স্কোর ছিল ২০৪। যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত। অন্যদিকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে আজ সকাল ৮টায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান বিষয় ওয়েবসাইট আইকিউএয়ার-এ এমন চিত্র দেখা গেছে। এর আগে গতকালও ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’।
এই মুহূর্তে দূষিত বায়ুর শহর হিসেবে প্রথমে রয়েছে ভারতের কলকাতা, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, চতুর্থ অবস্থানে আছে ভারতের দিল্লি, পঞ্চম অবস্থানে নেপালের কাঠমাণ্ডু এবং ১২৫ নম্বর অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, যার বায়ুমান স্কোর মাত্র ১২।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণমান নির্ধারণের একিউআই স্কেল অনুযায়ী ০-৫০ ভালো, ৫১-১০০ মাঝারি, ১০১-১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১-২০০ সাধারণ মানুষের জন্যও অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১-৪০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বায়ুদূষণের মাত্রা সাধারণত পাঁচটি প্রধান দূষকের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বস্তুকণা (PM2.5 ও PM10), নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2), কার্বন মনোক্সাইড (CO), সালফার ডাই অক্সাইড (SO2) ও ওজোন (O3)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এটি বিশেষভাবে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসার, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বাড়ির বাইরে কম বের হতে বলা হয়েছে। শহরে সবুজায়ন ও গাছপালা বৃদ্ধির মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।