ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘সাস্টেইনোভেট সিজন ১’। ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য উদ্ভাবনী সমাধানের সম্মেলন’ স্লোগানকে সামনে রেখে এই আয়োজন করে পরিবেশবাদী সংগঠন আর্থ’স অ্যান্টস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ।
তরুণদের মধ্যে পরিবেশগত সচেতনতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারা বিকশিত করাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলনের প্রথম রাউন্ড, যেখানে তরুণরা বিভিন্ন পরিবেশগত সমস্যার সমাধান প্রস্তাব করেন। এর ফল ঘোষণা করা হয় ৬ ফেব্রুয়ারি। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি বিজয়ীদের নিয়ে বুটক্যাম্প আয়োজন করা হয়। দ্বিতীয় রাউন্ড ও স্টল প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয় ২০ ফেব্রুয়ারি। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি স্টল প্রেজেন্টেশন এবং ২২ ফেব্রুয়ারি গ্র্যান্ড ফিনালে ও সামিট অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফিনালে-তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসডিজি-বিষয়ক গবেষক সাদ্দাফ হায়দার, এবং শিশু অধিকার ও জলবায়ু সহনশীলতার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অ্যাওয়ার্ড পাওয়া কিশোরী ফাতিহা আয়াত।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বুটক্যাম্পে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেশন অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রকল্প ব্যবস্থাপন ফজলে এলাহী শব্দদূষণ এবং এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীমা ফেরদৌসী সিফা প্রতিযোগীদের প্রকল্প মূল্যায়ন করেন। গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বুটক্যাম্পের ডিরেক্টর সোহাগ আন নাফিস একটি সেশন নেন। দুর্যোগ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান পরিবেশ সংরক্ষণে বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের সঠিক প্রয়োগের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
আর্থ'স অ্যান্টস-এর প্রধান নির্বাহী মো. মিরাজুল ইসলাম জানান, এই সম্মেলনের অংশ হিসেবে প্রতিযোগী শিক্ষার্থীদের দলগুলো তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্প এবং ধারণা বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে ছিল বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, এবং টেকসই শক্তির ব্যবহার নিয়ে প্রস্তাবিত নানা সমাধান।
পুরো আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল দৈনিক ইত্তেফাক।