শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

‘ঘুমহীন জীবন শেষ করে দিচ্ছে ক্রিকেটারদের’ 

আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৫০

মানুষের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম অনুষঙ্গ ঘুম। কর্মমুখী মানুষের জন্য সেটি বিশেষভাবে জরুরি। ক্রীড়াবিদদের জন্য তো সেটি অপরিহার্য উপাদান। তবে বর্তমানে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন। ঘুমের ক্ষেত্রে এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অনেকেই এই কারণে স্বাভাবিক ঘুমের সুযোগ নষ্ট করছেন। 

বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান কোচ রাজিন সালেহ। সিলেটের এই কোচ বর্তমানে ডিপিএল নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন, অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সম্প্রতি সাভারের বিকেএসপিতে আলাপকালে ক্রিকেটারদের জীবনাচরণ নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। 

রাজিন সালেহ জানিয়েছেন, বর্তমানে ক্রিকেটারদের ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেড়েছে। কিছু না কিছু লেগেই আছে। অল্প আঘাত থেকে বেশি ভুগতে হচ্ছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ ঘুম কম হওয়া। মোবাইলের কারণে অনেকে নিয়মিত ঘুমায় না। ঘুমহীন জীবন শেষ করে দিচ্ছে ক্রিকেটারদের। সারা দিন পরিশ্রম করে রাতে পরিমিত ঘুম না হলেও সেটি শরীরের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। এ কারণে অল্পতেই ইনজুরিতে পড়ে অনেকে। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে পরদিন খেলার ওপরও বাজে প্রভাব পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। 

চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, ঘুমের জন্য শরীরে মেলাটনিন হরমোন নিঃসৃত হয়। সাধারণত রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে শরীরে মেলাটনিন হরমোন নিঃসরণ শুরু হয় এবং সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে তার নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত রাত জাগলে এই সাইকেল এলোমেলো হয়ে যায়। রাত জাগার পর দিনে ঘুমালেও তার প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। সেজন্য প্রতি রাতে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। 

গবেষণা বলছে, মাত্র এক রাত কম ঘুম হলেই ৬০ শতাংশের ওপর নেতিবাচক চিন্তা ও আবেগ দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। সপ্তাহে তিন দিন রাতে ঘুম কম হলে হৃদরোগ, মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা, ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়ারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আর ক্রিকেটাররা অক্লান্ত পরিশ্রমের পর না ঘুমালে সেটি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে শরীরের ওপর।

ইত্তেফাক/জেডএইচ