বর্তমান সময়ে আমরা যে যার মতো কর্মজীবন নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি। ব্যস্ততার জন্য প্রতিদিন রান্না করাটা অনেকের কাছে ঝামেলার বা কষ্টদায়ক। তাই অনেকেই ঝামেলা এড়াতে একদিনে কয়েক দিনের খাবার রান্না করেন।
এসব খাবার বক্সে বক্সে কয়েকদিনের জন্য ফ্রিজে রেখে দেন। পরবর্তীতে তা প্রয়োজনমতো গরম করে নেন। খাবার এমন গরম করার কাজটি দ্বিতীয়বারের জায়গায় কখনো কখনো তৃতীয়বারও করা হয়।
কিন্তু জানেন কি? যেসব খাবার দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার গরম করা হয়-সেসব খাদ্যে পুষ্টিগত গুণমান নষ্ট হয়। এছাড়াও পেটে বদহজম ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
যেসব খাবার দ্বিতীয়বার গরম করে খাওয়া ঠিক নয়, আসুন জেনে নেওয়া যাক-
ভাত
ভাত বাঙালির প্রধান খাবার। দৈনন্দিন সবাই কম-বেশি ভাত খেয়ে থাকেন। তবে ভাত রান্নার পর দীর্ঘসময় স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে তাতে ‘ব্যাসিলাস সেরিয়াস’ নামক ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। সেই ভাত পুনরায় গরম করলে ওইসব ব্যাকটেরিয়া বিষাক্ত হয়ে যায়। তখন এই ভাত খেলে বমি অথবা ডায়রিয়া হতে পারে।
মাংস
প্রোটিনের উৎসগুলোর মধ্যে মাংস অন্যতম। কিন্তু রান্না করা মাংস বারবার গরম করলে স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। একাধিকবার গরম করা মাংস খেলে হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে।
ডিম
এটিও প্রোটিনের ভালো উৎস। কেউ ডিম সিদ্ধ, কেউ ডিম ভাজা অথবা বিভিন্ন উপায়ে রান্না করে খান। এই ডিমকে আবার গরম করা হলে টক্সিন তৈরি হয় যা বদহজমের আশঙ্কা বাড়ায়।
আলু
শর্করা জাতীয় খাবারের মধ্যে আলু হলো পরিচিত নাম। আলু রান্নার পর ঠান্ডা হলে তাতে বটুলিজম নামক ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। এই খাবার ফের গরম করলে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেয়ে ফুড পয়জনিং হতে পারে।
পালং শাক
এই শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় আয়রন ও নাইট্রেট। তবে এটিও পুনরায় গরম করে খেলে শরীরে ‘কার্সিনোজেনিক এলিমেন্ট’ বা ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংখ্যা বেড়ে যায়।
চা
চা তৈরির পর ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটি আবারও গরম করা উচিত নয়। কারণ তৈরি করা চা পুনরায় গরম করে পান করলে লিভারে ক্ষতি হয়।
তেল
ভাজাপোড়া খাবার তৈরির পর পাত্রে ব্যবহৃত তেল থেকে যায়।
সেই তেল দ্বিতীয়বার কাজে ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। কারণ এতে টক্সিন সৃষ্টি হয়।