নাটোরের লালপুরে এক আইনজীবীর বাসায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাত দলের দায়ের কোপে সাধন কুমার দাস (৪২) নামে ওই আইনজীবীসহ একই পরিবারের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
বুধাবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টার পর লালপুর সদর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সাধন কুমার দাস নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও মাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার ভাতিজা রিপন কুমার দাস (৩২) ও ভাতিজার স্ত্রী সুমি রানী (২৫) বাধা দিতে গিয়ে ডাকাত দলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন।
পরিবারটির দাবি, ডাকাতরা বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাত ১২টার দিকে ৮-১০ জন ডাকাত রাম দা, চায়নিজ কুড়াল ও হাঁসুয়া নিয়ে বাড়ির পেছনের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। প্রথমে তারা সাধনের হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। পরে টাকা ও স্বর্ণালংকার দিতে রাজি না হলে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
এ সময় তার ভাতিজা রিপন ও ভাতিজার স্ত্রী সুমি বাধা দিতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করে ডাকাতেরা। ৩ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাধনকে গতকাল রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি।
আহত রিপন কুমার বলেন, অসাবধানতাবশত তার কাকা সাধন শয়নকক্ষের দরজা খুলে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ডাকাতেরা পেছনের ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে প্রথমেই তার ঘরে ঢুকে তাকে বেঁধে ফেলে। পরে তাকে কুপিয়ে সব টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতেরা মাত্র পাঁচ মিনিটে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন লালপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমিনুজ্জামান। তিনি জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপরাধীদের ধরতে মাঠে কাজ করা হচ্ছে।