রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা জারি, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

আপডেট : ০৭ মে ২০২৫, ১২:৩২

পাকিস্তানের জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এলো এমন ঘোষণা। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

বুধবার (৭ মে) পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এছাড়া হাসপাতালসহ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ভারতের হামলার নিন্দা জানান মরিয়ম নওয়াজ শরিফ। তিনি বলেন, জনগণ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত হয়তো এটা (হামলা) শুরু করেছে, কিন্তু আমরা এটা শেষ করব।

পাকিস্তান শান্তি চায় উল্লেখ করে মরিয়ম নওয়াজ শরিফ বলেন, আমরা শান্তি চাই, তবে সেটা সম্মানের সঙ্গে। যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়, তবে পুরো দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি শক্তিতে পরিণত হবে।

পাঞ্জাবের এ মুখ্যমন্ত্রী জানান, সব চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের নিজ নিজ দায়িত্বে ফেরত আসতে বলা হচ্ছে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্র লেফটেনান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারত তার দেশের ছয়টি জায়গায় ২৪টি স্থাপনায় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ভাওয়ালপুরের আহমেদপুর শারকিয়া, মুরদিক, শিয়ালকোট এবং শকরগড় ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মিরের কোটলি ও মুজফ্ফরাবাদে এইসব হামলা হয়েছে।

এদিকে, ভারত সরকার দাবি করেছে যে তারা পাকিস্তানের নয়টি জায়গায় হামলা চালিয়েছে এবং কোনও ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল না।

এসব হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এর জবাবে রাতেই পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ভারতের পাঁচটি আকাশযান, যার মধ্যে রয়েছে– তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি হেরন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।’

ইত্তেফাক/কেএইচ