বর্ষা শুরুর আগেই সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ভাটপিয়ারী এলাকায় যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এলাকাটির বেশ কিছু ফসলি জমি। এ অবস্থায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মাঝে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভাটপিয়ারী এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনা নদীর প্রায় কয়েকশ মিটার এলাকাজুড়ে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, যমুনার ভাঙনে ভাটপিয়ারী গ্রামটি পুরোই নদীগর্ভে চলে গেছে। দফায় দফায় বাড়িঘর ভেঙে এখানকার কৃষকেরা ওয়াপাদার পাশের এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাঙনে কৃষকেরা আতঙ্কে রয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে তারা জানান। তাছাড়াও বিলীনের শঙ্কায় রয়েছে একটি মাদ্রাসা, হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুলসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। বর্ষা মৌসুম আসার আগেই নদীভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, ভাটপিয়ারী গ্রামটি পুরোই নদীগর্ভে চলে গেছে। এরপর ভাঙন এলাকার মানুষগুলো অন্য জায়গায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু এবার বর্ষার আগেই নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী এলাকায় ভাঙন চলছে। এর পেছনেই স্থায়ী বাঁধ রয়েছে। বাঁধের সামনের চরটা মূলত ভাঙছে। আমরা অবজারভেশন করছি। তিন-চারমাস ধরে নদীটা সেখানে হিট করছে। যেখানে ক্ষতি হচ্ছে, সেখানে জিওব্যাগ ফেলছি। আশা করছি সেখানে কোন সমস্যা হবে না।
উল্লেখ্য, ভাঙন প্রতিরোধে বুধবার দুপুর থেকে জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙন বন্ধে স্থানীয়রা কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।