রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

গৌরীপুরে সাড়ে ৫ কোটি টাকার সেতুতে এখন শুকানো হয় ধান-খড়

আপডেট : ০৮ মে ২০২৫, ১৫:৫৯

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নে সুরিয়া নদীর ওপর সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা সেতুতে  এখন শুকানো হচ্ছে ধান ও খড়। সেতুর সংযোগ সড়কটির জায়গায় বড় বড় গর্ত তৈরি ও সেতুর মুখের অধিকাংশ সড়ক ধসে পড়ায় সেতুর ওপর দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছোট যানবাহন চলাচল করলেও প্রায়ই ঘটছে  দুর্ঘটনা।

এলাকবাসী জানায়, সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার এক বছরের মাথায় ভারী বর্ষণে সেতুর সংযোগ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও ধস দেখা দেয়। সংস্কার না হওয়ায় ইট খসে পরে দিন দিন সংযোগ সড়কটি সরু হয়ে যাচ্ছে। চুরি হয়ে যাচ্ছে সংযোগ সড়কের ইট। 

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্কার না করায় সংযোগ সড়কে সৃষ্ট গর্তগুলো বড় হয়ে ইটসহ ধসে পড়তে থাকে। এরমধ্যে নয়ানগর বাউশালিপাড়া অংশের সংযোগ সড়কের বড় অংশ ধসে পরেছে। এছাড়াও সেতুর গাইড ওয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও ইট খসে পরেছে। সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত।

এক বছর ধরে সেতুটি গ্রামবাসীর খড় ও ফসল শুকানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। গ্রামবাসীরা জানান বিকল্প পথে উপজেলা শহরসহ নেত্রকোণা যাতায়াত করতে অনেকটা পথ ঘুরতে হয়। তাই সময় বাঁচাতে ধসে পড়া সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে রিকশা, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে। এতে করে প্রায়ই ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অসিত বরণ দেব জানান, ইতিমধ্যে এলজিইডি ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল সেতুর ধসে যাওয়া সংযোগ সড়ক পরিদর্শন করেছে। সড়ক মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাদুল হাসান বলেন, জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব করতে সড়ক সংস্কারের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সড়কের ইট চুরি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। 

ইত্তেফাক/ টিএস