শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯

সেরা ১৫ প্রকল্প আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মনোনীত

আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০১৯, ২০:১১

মাহবুব শরীফ

 

টানা পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-বেসিসের উদ্যোগে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় আইডিইবি-এর মুক্তিযোদ্ধা হলে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ জমকালো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফলভাবে শেষ হলো।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের পার্টনার হিসেবে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনস্থ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্প, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-আইডিইবি। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল গোল্ড স্পন্সর ই-ভ্যালি এবং ইন্টারনেট পার্টনার আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড।

এবার ৯টি শহর থেকে ৪ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। সেখান থেকে শীর্ষ ৪৫টি প্রকল্পকে নিয়ে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-আইডিইবিতে ১৯-২০ অক্টোবর টানা দুইদিনব্যাপী হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩৬ ঘণ্টা টানা হ্যাকথন আয়োজনের পর ২০ অক্টোবর  রাতে জমকালো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী  জুনাইদ আহেমদ পলক, এমপি । সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক্স গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  আজাদুল হক। অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. হাসান জামিল, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, মেশিন লার্নিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড কম্পিউটার সিস্টেমস, ইউনিভার্সিটি অব আইডাহো। 

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক দিদারুল আলম । উপস্থিত ছিলেন নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ এর সহযোগী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর সভাপতি  এ কে এম এ হামিদ এবং নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  মোহাম্মদ রাসেল, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের পরিচালক আবদুল হাই, পিএএ এবং নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের ইন্টারনেট পার্টনার আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ ।

স্বাগত বক্তব্যে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, এবার ৪ হাজারেও বেশি প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে বাছাই করে সেরা ৪৫টি প্রকল্প আমরা নাসার জন্যে মনোনীত করেছি। এবার সেরা প্রকল্পগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। গত বছর বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে শীর্ষ চারে স্থান করে নেওয়া ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানের দলকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়  সিলেট থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া দল ‘টিম অলিক’। এ বছর নাসার আমন্ত্রণে টিম অলিক গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নদের জন্য আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে  অংশ নেবে।  এবার আরো ভালো কিছু করার আশা করছি আমরা।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ সম্পর্কে বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, টেকনোলজিস্ট, বৈজ্ঞানিক, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, এডুকেটর, উদ্যোক্তা ইত্যাদিসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে ইনোভেটিভ সমাধান খুঁজে বের করাই হলো এর মূল লক্ষ্য।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান বলেন, মহাকাশের বিভিন্ন সমস্যার বাইরে জলবায়ু, চাঁদ, অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্রসহ পাঁচটি ক্যাটাগরির অধীনে মোট ২১টি সাব ক্যাটাগরিতে এবার হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  ক্যাটাগরি ভিত্তিক এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করেছে আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীরা। গত ৫ বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন অনেক ভালো, আশা করছি ২০১৯-এ আমাদের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক বলেন, বিশ্ব পরিমণ্ডলে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং তরুণদের সক্ষমতা তুলে ধরতে বিশ্ব এ নিয়ে বেসিস পাঁচবার নাসার সঙ্গে যৌথ নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আয়োজন করল। গত বছর আমরা ১টি ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবার পরিধি আরো বেড়েছে। বাংলাদেশ আরো ভালো করবে এটাই আমার বিশ্বাস।