বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

৫ দিনের মধ্যে শেষ হবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মজুত খাবার!

আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:০১

চীনে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস এই মুহূর্তে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বৃহস্পতিবার হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রদেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩১০ জনে। চীনের মূল ভূখণ্ডে মোট মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ১৩৫৫ জন। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে সেখানে রয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। বেশ আতঙ্কেই দিন কাটছে তাদের। মোবাইল ফোনে কথা হয় চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মেহদি আহমেদ জনির সঙ্গে।

বর্তমানে তিনি রয়েছেন মধ্য চায়নার শানচি প্রদেশের রাজধানী শহর শিয়ানে। তিনি শানচি নরমাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগামের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

তিনি বলেন, শানচি নরমাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ২৭০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ছিলাম। এখন পর্যন্ত কেউ আক্রান্তের খবর আমরা পাইনি। এখানে প্রতিদিন আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ২৭০ জন বিদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০০ জন শিক্ষার্থীই তাদের নিজ নিজ দেশে চলে গেছে। বাকি আমরা যারা আছি তাদের মধ্যে কেউ আক্রান্ত হয়নি। আমরা প্রতিদিনই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করি এবং সেই রিপোর্ট অনলাইনের মাধ্যমে এখানকার সরকারের কাছে জমা দেই।

আরো পড়ুন: যেভাবে হবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব রকম সহযোগিতা করছে। কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনই আমাদেরকে স্বাস্থ্য রিপোর্ট তৈরি করতে তাগাদা দিচ্ছে। বিশেষ করে তারা চীনা নাগরিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। কারণ অধিকাংশ বিদেশি ছাত্র এখানে থাকেন।

অ্যাম্বাসির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ব্যর্থতা হোক কিংবা তাদের ব্যর্থতা হোক- আমরা এখন পর্যন্ত তাদের যোগাযোগ করতে পারিনি।

খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, শিয়াং শহর সরকারের পক্ষ থেকে ‘লক ডাউন’ করে রাখা হয়েছে। সে কারণে চাইলেই কেউ এখান থেকে বের হতে পারে না। এজন্য দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। আমাদের বড় সমস্যা হলো খাবার। আমাদের কাছে যে পরিমাণ খাবার রিজার্ভ আছে তা দিয়ে আর ৫-৬ দিন চলবে। এরপর ‘শপ’ খোলা রয়েছে কিন্তু সেখানে খাবারের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে বর্তমানে তিনগুণ বেশি।

মেহদি আহমেদ জনি বলেন, আমাদের পরিবার অনেক আতঙ্কিত। তারা বারবার আমাদের ফোন দিয়ে দেশে চলে যেতে বলেন। আমরা তাদের আশ্বস্ত করছি যে, না- কোন সমস্যা নেই, এখানে আমরা নিরাপদে আছি। তবে সবার কাছে আমাদের একটাই চাওয়া আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন এখান থেকে ভালোভাবে বাংলাদেশে ফেরত যেতে পারি। আপনারা চায়নাবাসীসহ পুরো বিশ্ববাসীর দোয়া করবেন। যেন বিশ্ববাসী এমন অবস্থা থেকে দ্রুত মুক্তি পান।

ইত্তেফাক/বিএএফ