যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করেছে টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল। মিশনের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিটি সদস্যগণ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং অন্টারিও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য প্রটোকল যথাযথ প্রতিপালনের মাধ্যমে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
টরন্টোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ সকালে বাংলাদেশ হাউসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর কনস্যুলেট জেনারেল বিশদ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল বাংলাদেশ ও কানাডার জাতীয় সঙ্গীত, ১৫ অগাস্টে শহীদের আত্মার নীরবতা পালন, কনসাল জেনারেল ও কর্মকর্তাগণ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবন ও অবদান নিয়ে আলোচনা।
কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা বাঙ্গালীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ বর্বরোচিত ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি এই শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহ্বান জানিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' বিনির্মাণে প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহবান জানান।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর আলোকপাত করে কনসাল জেনারেল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার নেতৃত্ব ও মানবিক গুনাবলীসমূহ যথার্থই ধারন করেছেন এবং তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলার রূপকল্প স্থির করেছেন এবং এই রূপকল্পের বাস্তবায়নই হবে বাঙালীর পক্ষ হতে জাতির পিতার প্রতি যথাযথ সম্মান। কনসাল জেনারেল এই লক্ষ্যসমূহ পূরণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতিজন, বাংলাদেশ কমিউনিটি সদস্য এবং অন্টারিও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এই আলোচনায় অংশ নেন। ১৫ আগস্টের শহীদদের জন্য ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে কর্মসুচির পরিসমাপ্তি হয়।
ইত্তেফাক/জেডএইচডি