বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নিউমোনিয়ার কারণে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবস্থার অবনতি

আপডেট : ১৭ জুন ২০২০, ০১:০৬

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। ফুসফুসে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই অবনতি। এজন্য তাকে নতুন করে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাফরুল্লাহ চৌধুরী শারীরিকভাবে এখনো বেশ দুর্বল।

গতকাল মঙ্গলবার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিত্সক অধ্যাপক মামুন মোস্তাফীর বরাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্যের অবস্থা আজ কিছুটা চিন্তাযুক্ত। তার নিউমোনিয়া পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অবস্থা বিবেচনায় নতুন করে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি সবার দোয়া চেয়েছেন।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফেসবুক পেজে সোমবার বলা হয়েছিল—‘তার (জাফরুল্লাহ) সার্বিক অবস্থা স্থিতিশীল। কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস ছাড়াই আগের চেয়ে ভালো বোধ করছেন। গণস্বাস্থ্য র‌্যাপিড ডট ব্লট কিটে নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর আরটি পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলও নেগেটিভ এসেছে। তিনি এখন করোনামুক্ত। এখন তিনি নিউমোনিয়ার জটিলতায় ভুগছেন, তিনি হাসপাতালে কেবিনে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।’ পিসিআর টেস্টে কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসলেও নিউমোনিয়ার কারণে অবস্থার অবনতি হয় জাফরুল্লাহর। গণস্বাস্থ্যের কিটে করোনা নেগেটিভ আসার পর তিনি রবিবার আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের জানাজায় গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আবার হাসপাতালে ফিরে আসেন।

আরও পড়ুন: বোনকে উত্যক্ত করায় যুবক খুন, ১২ দিন পর মরদেহ উদ্ধার ঘাতক আটক

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারীশ হাসান চৌধুরীও করোনায় আক্রান্ত। তবে তারা দুজনই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তারা বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। ২৯ মে থেকে তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসকরা জানান, করোনা নেগেটিভ আসলেও তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন। ৪ জুন রাতে ৭৯ বছর বয়স্ক এই মুক্তিযোদ্ধা চিকিত্সকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তবে ৬ জুন থেকে ধীরে ধীরে তার উন্নতি হতে থাকে। ৯ জুন জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিত্সায় বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড ও ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের সমন্বয়ে একটি অনলাইন মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের তত্ত্বাবধানেই তার চিকিৎসা চলছে।

ইত্তেফাক/এসি