শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘ইনফোডেমিক’ করোনা ভাইরাসের জানা-অজানা কথা

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:১৯

করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা ধরণের গুজব। আর এই গুজব ভাইরাসের চেয়ে বেশি দ্রুত ছড়ানোয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রবণতার নাম দিয়েছে ইনফোডেমিক। আর এই জন্য ইন্টারনেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানিকে গুজবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

করোনা ভাইরাসের লক্ষণ মূলত জ্বর । এছাড়া শ্বাস কষ্ট এবং নিউমোনিয়ার উপসর্গ রোগীর শরীরে থাকতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্যমতে, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জ্বর, কাশি, শ্বাস কষ্ট এবং শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা থাকে। তবে নিউমোনিয়ার লক্ষণও কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়। এর কারণে কিডনি অকেজো হয়ে যেতে পারে যার কারণে মৃত্যু হতে পারে।  
  
করোনা ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক বের হয়নি। তবে এই বিষয়ে মার্কিন জাতীয় সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০ সেকেন্ড পর পর সাবান অথবা  অ্যালকোহলযুক্ত কোন পরিষ্কারক দিয়ে হাত পরিষ্কার করলে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা যাবে। এছাড়াও সংস্থাটির পক্ষ থেকে অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক এবং মুখে হাত দিতে বারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ফিলাটার মাস্ক পড়ার জন্য উৎসাহ দেয়া হয়েছে। মার্কিন জাতীয় সংস্থা বলছে ,সার্জিকাল মাস্ক করোনা প্রতিরোধে তেমনটি কার্যকর নয়। এছাড়াও হাঁচি, কাশির সময় মুখে টিস্যু ব্যবহার করতে বলা হয়েছে এবং হাঁচি কাশির পরে হাত ধোঁয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।  
 
করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পরে বিভিন্ন দেশে মাস্কের চাহিদা বেড়ে গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধুমাত্র সার্জিকাল মাস্ক দিয়ে এই ভাইরাস ঠেকানো সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার এন(N) ৯৯ ফিল্টার মাস্ক । মাস্কে সাধারণত এন(N), আর(R) ও পি (P) এই তিন ধরনের ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। এন(N) মাস্ক মূলত ধুলা-বালি থেকে সুরক্ষা দেয়। এছাড়া মাস্ক ব্যবহার করলে মুখেও সহজে হাত দেয়া যায়না। তাই এটি বেশি কার্যকর এই বিষয়ে সেন্ট জর্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডক্টর ডেভি ক্যারিংটন বলেন, সার্জিকাল মাস্ক দিয়ে বাতাসে থাকা জীবানু প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় কারণ সেগুলো অনেক ঢিলা হয় এবং এর কোন ফিল্টার নেই।  

চীনের মূল ভূখন্ডে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪শ ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত  বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।

ইত্তেফাক/এআর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন