শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পুলিশকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশ গঠনে পুলিশ বাহিনীকে অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।’

আজ রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশ একাডমি সারদায় ৩৬তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নবীন পুলিশ কর্মকর্তা এবং আজকে মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে (এক বছরের) কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন তাদের এটাই বলবো যে-বিপদে জনগণের বন্ধু, এভাবেই নিজেকে গড় তুলবেন।

তিনি বলেন, আপনাদের ওপর যে দায়িত্ব তা যথাযথভাবে পালন করবেন এবং সমাজের সমস্ত কালো বিষয়, যা দেশ ও সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে, যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সবসময় মনে রাখবেন, আপনারা জনগণের পুলিশ। কারণ, জনগণের মাঝেই আপনাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-পরিজন। কাজেই, তাদের কল্যাণ এবং তাদের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা দেওয়া-আপনাদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, আমরা চাই, আমাদের দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আজকের যারা নবীন কর্মকর্তারা, প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন কাজে যোগদান করছেন তাদের আমি এটাই আহ্বান জানাবো-সততা, নিষ্ঠা এবং একাগ্রতার সঙ্গে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রধানমন্ত্রী সকালে সারদাস্থ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ভিআইপি অতিথি ভবন ‘তরুণিমায়’ পৌঁছলে হাউজ গার্ডের একটি সুসজ্জিত দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

পরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী এবং বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মো. নজিবুর রহমান তাকে স্বাগত জানান।

প্রধানমন্ত্রী সেখানে ৩৬তম বিসিএস ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং একটি সুসজ্জিত খোলা জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী শিক্ষানবীশ সহকারী পুলিশ সুপারদের মধ্যে পদকও বিতরণ করেন।

শিক্ষানবীশ পুলিশ কর্মকর্তা শারমিন আক্তার চুমকি কমান্ডার হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিচালনা করেন। ৩৬তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচে ১১৭ জন এএসপি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ১৭জন ছিলেন নারী সদস্য। 

প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে মো. খায়রুল কবির ‘বেস্ট শ্যুটার’, মো.আব্দুল্লাহ আল মামুন বেস্ট ‘ফিল্ড পারফর্মার’ মো. সালাহউদ্দিন বেস্ট হর্সম্যানশিপ এবং সাইফুল ইসলাম খান ‘বেস্ট একাডেমিক’র পুরস্কার লাভ করেন। মো. সালাহউদ্দিন শ্রেষ্ঠ শিক্ষানবীশও বিবেচিত হন।

প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং শিক্ষানবীশ এএসপিদের সঙ্গে ফটো সেশনেও অংশগ্রহণ করেন।

মন্ত্রি পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিদেশি কূটনীতিক, উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসের ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে শেখ হাসিনা

তিনি বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে, পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে বলেই আজকে আমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে পেরেছি, সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি, মাদকের বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে এবং এই অভিযান চলবে।

ইত্তেফাক/কেকে