শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চোরাই পথে পদ্মা পাড়ি ঠেকাতে ১৯ ট্রলার ডুবিয়ে দিলো পুলিশ

আপডেট : ২১ মে ২০২০, ১৭:০৭

শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে সোমবার বিকেল ৩টা থেকে সকল প্রকার চলাচল বন্ধ থাকলেও কিছু অসাধু ট্রলার ও সিবোর্ট চালকরা নদী পারাপার করে আসছিলেন। পুলিশের নজর এড়াতে তারা সরাসরি শিমুলিয়া ঘাটের বদলে মাওয়া পুরাতন ফেরি ঘাট থেকে যাত্রী পারাপারের চেষ্ট করছিলেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ৪৮টি ট্রলার ও দুই সিবোট আটক করেছে। এর মধ্যে পদ্মায় ডুবিয়ে দিয়েছে ১৯টি।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, গত মঙ্গলবার থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরিসহ সকল প্রকার নৌযান দিয়ে যাত্রী পারপার সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে প্রশাসন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে কড়া নজরদারী করছে নৌপুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবারও ভেঙ্গে ভেঙ্গে কিছু যাত্রী আসছে মাওয়ার দিকে। তবে তারা শিমুলিয়া ঘাটে না গিয়ে মাওয়া চৌরাস্তা থেকে পশ্চিমে পুরাতন ফেরি ঘাটে চলে যাচ্ছে। এখানে একটি চক্র ট্রলার ও সিবোট দিয়ে ওপারে চর জানাজাত ঘাটে এসব যাত্রীদের পারাপার করে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে ৫টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। যাত্রী নামিয়ে এর মধ্যে দুটি ট্রলার পদ্মায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে বুধবার পর্যন্ত ১৭টি ট্রলার পদ্মায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বমোট ৪৮টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে, এর মোট ১৯টি ট্রলার আজ পর্যন্ত ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২টি সিবোটও জব্দ করা হয়েছে অবৈধভাবে লোকজন পারাপারের জন্য। তবে এখন আর মানুষের ঢল নেই শিমুলিয়া ঘাটে। 

আরও পড়ুন: শ্যামনগরে বাঁধ ভেঙে ৫ ইউনিয়ন প্লাবিত, ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, বুধবার পর্যন্ত ঘাট এলাকায় প্রায় দুইশতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে ছিল পারাপারের জন্য। গভীর রাতে এগুলো পার করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘাটে নতুন করে আরও পণ্যবাহী প্রায় চারশ ট্রাক এসেছে। সুযোগমত জণস্বার্থে এগুলো পার করে দেওয়া হবে। এছাড়া জরুরি পরিসেবার কোনো গাড়ি আসলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সেগুলো পার করা হবে।  তবে কোনো মতেই এখন এই ঘাট দিয়ে কোনো যাত্রীবাহী গাড়ি বা যাত্রী পার করা হবে না। 

ইত্তেফাক/এসি