শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তিন বছরেও মেরামত হয়নি ব্রিজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২০, ১৮:০৮

ভেঙে পড়ার তিন বছর পার হলেও মেরামত হয়নি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের ব্রিজটি। ফলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ পাঁচটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে ব্রিজের পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও বাই সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা ও ভ্যান পারাপার করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহনেও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট কর্মসূচির আওতায় ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজটি নির্মিত হয়। ২০১৭ সালের বন্যায় ব্রিজটি ভেঙে পড়লেও এখনো মেরামত করা হয়নি। স্থানীয়রা কয়েকবার ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেও তাতে কোন সুফল মেলেনি।

সরজমিনে দেখা যায়, ব্রিজের পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। সাঁকোটি সরু হওয়ায় একজন একজন করে পার হতে হয়। এক পাশ থেকে কেউ সাঁকোতে উঠলে অপরপাশে লোকদের অপেক্ষা করতে হয়। লোকজন কোনরকমে পারাপার হলেও বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান পরিবহনের উপায় নেই। 

আরো পড়ুন: আফগানিস্তানে ১৪ বছরে ২৬ হাজার শিশু নিহত-বিকলাঙ্গ

বাবুপুর গ্রামের কৃষক বাদশা বিশ্বাস জানান, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে খোদানওদা, জামালপুর, বাবুপুর, কচুয়া ও ইজদিয়া গ্রামের প্রায় ৭০০-৮০০ মানুষ যাতায়াত করে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে লোকজন কোনরকমে পারাপার হলেও কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তিনি বলেন, আমরা যে কষ্ট করি তা বলার মতো না। ব্রিজটি মেরামত হলে আমাদের খুবই উপকার হয়।

বাবুপুর গ্রামের স্বপন বলেন, সাঁকো দিয়ে মানুষ পার হওয়া যায়। কিন্তু একটা সাইকেল বা মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া যায় না।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মানিকুজ্জামান বলেন, ওই জায়গার জন্য ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।

ইত্তেফাক/এএএম