বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খুলনায় এক শিল্পীর আত্মহত্যা!

আপডেট : ১৯ মে ২০১৯, ১৮:২০

খুলনার রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ফারহানা ইয়াসমিন শাওন (৩৬) আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার দুপুরে নগরীর নিরালার কাশেম নগর ভাড়া বাসায় তিনি  ফ্যানের সঙ্গে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। 

শাওন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ডুমুরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন।

শাওন খুলনা মহানগরীর নিরালা আলকাতরা মিল এলাকার শেখ আব্দুল হকের মেয়ে। এক বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। ছোট ভাইয়ের নাম অয়ন।

শাওনের রুমমেট শাহানা আলিমা জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি শাওনকে মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত দেখেন। দুজনে কিছু কথা বলার পর যে যার কক্ষে চলে যান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাওনের ঘর থেকে কোনো শব্দ না আসায় তিনি ডাকাডাকি করেন। পরে আশপাশের বাড়ি থেকে অন্যরা এসে কাঁচের দরোজা ভেঙে শাওনকে উদ্ধার করে দ্রুত খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

শাওনের সহকর্মী লিটন ঢালী জানান, ৬ মাস আগে স্বামী অপু খানের সঙ্গে ডিভোর্স হয় শাওনের। এ নিয়ে মানসিকভাবে তিনি কিছুটা বিপর্যস্ত ছিলেন। বাবার বাড়ি পাশে হলেও তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরেক শিক্ষক শাহানা আলিমার সঙ্গে কাশিমনগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের খুলনা শাখার সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিনা মিজানুর রহমান বলেন, ফারহানা ইয়াসমিন শাওন নগরীর কাশেম নগরের একটি ভাড়া বাসায় এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকতেন। দুপুরের দিকে বাসায় একা থাকা অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট খুলনার সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সেলিম বলেন, শাওন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। 

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মানসিকভাবে কিছুটা খারাপ থাকায় শাওন প্রায় ঘুমের ওষুধ খেতেন। পরিবার ও বন্ধুদের পক্ষ থেকে একাধিকবার তাকে ঘুমের ওষুধ খেতে নিষেধ করা হয়েছিলো। কিন্তু তারপরও তিনি শুনতেন না। 

আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলা করতে চাওয়ায় বর্ষার বাবার দাঁত ভেঙে দিতে চেয়েছিলো মোহনপুরের ওসি

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তারপরও সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

ইত্তেফাক/নূহু