শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কোটি টাকা ব্যয়ে আবারও পাইলিং গাছের খুঁটি দিয়ে

আপডেট : ২০ জুন ২০১৯, ১৬:৪১

পাহাড় ধসের দুই বছর পরও রাঙ্গামাটির মূল রাস্তা গুলো রয়েছে বেহাল দশায়। ২০১৭ সালের ১৩ জুন পাহাড় ধসের পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য সরকারীভাবে যথেষ্ট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাস্তা গুলোর সংস্কার কাজে স্থায়ী কোনো সমাধান পায়নি রাঙ্গামাটিবাসী। এতে বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। 

জানা যায়, পাহাড় ধস পরবর্তী জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা সংস্কারের মাধ্যমে সড়ক সচল করতে ব্যয় করা হয় প্রায় ১ কোটি টাকা। এবারও প্রায় কোটি ব্যয়ে গাছের খুঁটি দিয়ে মূল সড়কের পাশে পাইলিং কাজ করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে যেনতেন ভাবে সংস্কার করা সড়ক গুলো কিছুদিনের মধ্যেই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়ক মেরামত ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে মেরামত করতে ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে অস্থায়ী মেরামত কাজ করছে। ইতিমধ্যে শুধু গাছের খুঁটি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক গুলো সাময়িক মেরামত কাজে দুই কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। 
 
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ বলেন, বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে এসব গাছের খুঁটির পাইলিং ভেঙে যাবে। এগুলো কোনো কাজে আসবে না। তারপরও বর্ষায় সড়ক সচল রাখতে ব্যবস্থা নিতে সড়ক জনপথ বিভাগ ও এলজিইডিকে বলা হয়েছে।

রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ৩১ স্থানে বড় ধরনের ভাঙন ও গর্তের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও শহরের মধ্যে ৮ স্থানে ভাঙন ও গর্ত হয়েছে। মূল শহরসহ গোটা রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ভাঙন ও গর্ত হয়েছে মোট ৩৯ স্থানে। সেগুলোর সাময়িক মেরামত কাজ করা হয়েছে গাছের খুঁটি দিয়ে। ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। কেবল রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ৩১ স্থানে ভাঙন মেরামত কাজে গাছের খুঁটি দিয়ে পাইলিং ও মাটি ভরাট করতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

আর শহরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ স্থানে ভাঙন মেরামত কাজে ব্যয় হয়েছে ৫১ লাখ টাকা। এছাড়াও বিলীন হওয়ায় রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ির শালবনে অস্থায়ীভাবে যান চলাচলের জন্য নির্মিত হয়েছে একটি অস্থায়ী বেইলি সেতু। সেখানে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত বলেন, তার পক্ষে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। কাজের সবকিছুর দায়িত্বে আছেন খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী। যা বলার তিনিই বলবেন।

আরও পড়ুন: প্রি-পেইড মিটারে বিদ্যুৎ বিল বেশি নেওয়ার অভিযোগ

রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মো. ফয়সাল জানান, অস্থায়ী মেরামতে ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। আমি কাজের তদারকি করছি মাত্র। 

কাজের মানের বিষয়ে প্রশ্ন থাকলেও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইত্তেফাক/অনি