শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ে ৭ দিন যাবত বাস বন্ধ

আপডেট : ১১ জুলাই ২০১৯, ১৮:৩৫
গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল গত শনিবার ( গত ৬ জুন) সকাল থেকে একটানা গত সাতদিন যাবত বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ চালু হবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। দুর্ভোগে ঢাকা-গাইবান্ধা রুটের বাসযাত্রীরা। 
 
দ্বিগুণ হারে চাঁদা আদায় ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে বহিরাগত বাস মালিকদের দ্বন্দ্বের জেরে পরিবহন মালিকদের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ সকল রুটে বাস চলাচল চালু রয়েছে।
 
জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে গাইবান্ধা জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, জেলা মোটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়। এক পর্যায়ে গত সোমবার বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু ঢাকা বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন ওই সিদ্ধান্ত নাকচ করে দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ রাখে। তারা জানান, মোটর শ্রমিক সংগঠনের মহাসড়কে চাঁদাবাজি ও বর্ধিত হারে চাঁদা আদায় বন্ধ, সড়কে যানবাহনের নিরাপত্তা বিধানসহ অন্যান্য বিষয়ে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা বাস চলাচল বন্ধ রাখবেন। 
 
বাস চলাচল না করায় এবং বাস কাউন্টার গুলো বন্ধ থাকায় যাত্রী বিহীন হয়ে পড়েছে গাইবান্ধা বাস টার্মিনাল। অনেকে ট্রেনে যাতায়াত করছেন। আবার কেউ গাইবান্ধা থেকে লোকাল বাস, ব্যাটারি চালিত অটো ও সিএনজি চালিত অটোতে করে ১৯ কিলোমিটার দুরে পলাশবাড়ী উপজেলা শহরে গিয়ে রংপুর, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী বাস ধরছেন। 
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার জানান, আগেও মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন চেইনের নামে চাঁদা নিত। তবে হঠাৎ করে তারা দ্বিগুণ চাঁদা দাবি করছে। তাই বাধ্য হয়ে পরিবহন মালিকরা গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন। 
 
 
এসআর পরিবহনের বাস চালক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা গাড়ি চালালে টাকা পাই। না চালালে পাই না। সাত দিন ধরে গাইবান্ধায় বসে আছি। পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারছি না। 
 
জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে মোটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে বসে ছিলাম। বৈঠকে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। আমরা এখানকার সমস্যার সমাধানও করে দিয়েছিলাম। গাইবান্ধার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের অভিযোগ, ঢাকার বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের বাস চালাতে দিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা আবারও বসবো। দ্রুত সময়ে সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।
 
ইত্তেফাক/অনি