শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

টাকার দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ

আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২৩:০৭

৫০ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির (৯) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রিয়াজুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাগুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ছাত্রীর মা দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করার পর রিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ​

গ্রেপ্তারকৃত রিয়াজুল (২২) বাগুর এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে এবং কোরপাই এলাকার সুতার তৈরির শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, রিয়াজ ওই শিশুটিকে ৫০ টাকা দিবে বলে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী আবদুল ওহাব মিয়ার ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রীর আত্মচিৎকারে বাহার (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র শিশুটিকে উদ্ধার করেন।

অভিযুক্ত রিয়াজুল ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জানান, ৫০ টাকা দেওয়ার কথা বলে তাকে বেগুণ ক্ষেতে নিয়ে যাই। পরে ওখানে তাকে ধর্ষণ করি।

নির্যাতিত ওই শিশুটি জানান, রিয়াজুল আমাকে টাকা দিবে বলে মুখ চেপে ক্ষেতে নিয়ে যায়। আমি ছুটার চেষ্টা করলেও ছুটতে পারেনি।

আরো পড়ুন: সাকিবের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে অবশেষে আফগান বধ

ওই ছাত্রীর মা জানান, রিয়াজুল আমার মেয়েকে মাঝেমধ্যে বিরক্ত করতো। পরে আমি কয়েকবার তাকে নিষেধ করেছি। তারপরও সে শোনেনি। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে তার মায়ের কাছে নালিশ দিলেও তার মা হাসি দিয়ে উড়িয়ে দেন। তিনি আমার কথার কোন মূল্য দেইনি। যার কারণে আজ আমার শিশু মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হলো। আমি তার সুষ্ঠু বিচার চাই। 

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কুমিল্লা উত্তর জেলা সদস্য হাজী সরকার মো. লিটন জানান, প্রথমে ঘটনাটি শোনার পর আমি কিছু ছেলেকে পাঠিয়ে অভিযুক্ত রিয়াজুলকে আটক করি। পরে দেবিদ্বার থানায় জানিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেই।

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, নির্যাতিত ওই শিশুটির গায়ে নখের আচর রয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত রিয়াজকে আটক করেছে। রবিবার সকালে ওই শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) পাঠানো হবে।

ইত্তেফাক/বিএএফ