শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে চাপে ট্রাম্প

আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৩

রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনায় তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের ওপর চাপ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এসব তৎপরতাকে পাত্তা না দিয়ে রাশিয়া থেকে শিগগিরই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দ্বিতীয় চালান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। খবর রয়টার্স ও আল জাজিরা’র।  

ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা নিয়ে তুরস্কের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান দেশটির দুই প্রভাবশালী সিনেটর। এরা হলেন রিপাবলিকান দলীয় সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এবং ডেমোক্রেট দলের সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কাছে লেখা এক চিঠিতে এই দুই সিনেটররা বলেন, তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে ব্যর্থ হলে তা অন্য দেশগুলোর কাছে ভয়াবহ বার্তা দেবে। 

তারা আরও বলেন, ধৈর্যের সময় অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। এখন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ওই চিঠিতে সিনেটররা আরও বলেন, তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা না হলে অন্যরা এই ধারণা করবে যে, কোন রকমের পরিণতি বরণ করা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করা যায়। 

এদিকে রাশিয়ার কাছ থেকে শিগগিরই এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দ্বিতীয় চালান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপ উপেক্ষা করেই এ ঘোষণা দিলো আঙ্কারা। সোমবার রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম আরআইএ’র বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এস-৪০০ কেনার পরিকল্পনা স্থগিত না করলে ওয়াশিংটন তুরস্কের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেওয়ার পরও আঙ্কারার পক্ষ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন:  মাওবাদীদের নামে ১৭ গ্রামবাসীকে হত্যা করেছিল ভারতীয় পুলিশ

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের একজন শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা বলেছেন, কারিগরি কারণে এস ৪০০-এর দ্বিতীয় দফা চালান আনার বিষয়টি বন্ধ ছিল। আমার মনে হয় অচিরেই ওই চালান আসা শুরু করবে। গত নভেম্বরে রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সমরাস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেছিলেন, এর আগে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী তুরস্ককে এস-৪০০ ব্যবস্থার বাকি অংশ সরবরাহের কাজ ২০২০ সালের প্রথমার্ধে সম্পন্ন হবে।

মার্কিন হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করে আঙ্কারা। গত জুলাই মাসে এর প্রথম চালান হাতে পায় তুরস্ক। রাশিয়া ৩০টি বিমানে করে এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আঙ্কারার কাছে হস্তান্তর করে। তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল নাগাদ এই ব্যবস্থা মোতায়েন শেষ হতে পারে। 

ইত্তেফাক/এসইউ