প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর এই প্রথম স্কুলে এলো কাশ্মীরের কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী। ভারত সরকার ওই সব এলাকার কঠোর অবস্থান কিছুটা শিথিল করায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়ে স্কুলগুলো আবারও চালু করা হয়েছে।
সোমবার প্রায় সাত মাস পর প্রথম স্কুলের ক্লাসে বসলো শিক্ষার্থীরা বলে খবর জানিয়েছে আল জাজিরা। খবরে বলা হয়, কাশ্মীরে সমস্যার কারণে প্রায় দশ লক্ষ শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন স্কুলের বাহিরে ছিল।
খবরে জানানো হয়, গত বছর আগস্টের পরে সোমবার ফের স্কুলগুলো চালু করা হল। এ অঞ্চলের মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর ভারত সরকারের নিরাপত্তা সুরক্ষা দেওয়ার পর এবং প্রায় তিন মাসের বাৎসরিক শীতকালীন ছুটি শেষে ক্লাস শুরু করলো তারা।
গত সপ্তাহে কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, এ মাসে তৃতীয় বারের মত স্কুলগুলো চালু করা হল। কারণ এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এ অঞ্চলের আবহাওয়ার অবস্থাও ভালো।
স্কুলে আসতে পেরে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। ১৯ বছর বয়স মুসকান ইয়াকুব নামের এক শিক্ষার্থী বলেছেন, স্কুলে আসার আগ্রহ আমার প্রচুর ছিল। বাসায় করার কিছুই ছিল না এবং এমন কি বাসায় পড়াশুনা করাও বেশ কঠিন ছিল।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছর ৫ আগস্ট সরকার নয়া দিল্লিতে সংবিধানের ৩৭০ নং অনুচ্ছেদটি বাতিল করে। যার ফলে ভারত শাসিত হিমলায় অঞ্চলে বিশেষ মর্যাদা যুক্ত হয়েছে। যার ফলে সংবিধানে অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেই সঙ্গে শুধু প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ ও আন্তর্জাতিক বিষয় বাদে সব বিষয়ে আইন করার স্বতন্ত্রতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাস: দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন ১৬১ জন আক্রান্ত
সরকারের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেছে, বর্তমানে কাশ্মীরের ভীতিকর পরিবেশ কমে এসেছে। মা-বাবারা সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে।
কাশ্মীরের প্রাইভেট স্কুল সমিতির প্রধান জিএন ভর আল জাজিরাকে বলেছেন, প্রায় সাত মাস ধরে স্কুল বন্ধ থাকা একটা বড় অধ্যয়ন বিরতি সৃষ্টি করেছে। এ ক্ষতিটা গণনা করার মত না। এতে অনাগত পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইত্তেফাক/আরআই