বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল চীন

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২০, ১৯:২০

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বেইজিং। চীনের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে চীন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, চীনের এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন চীনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় দুই সিনেটর টেড ক্রুজ ও মার্কো রুবিও। তবে এই নিষেধাজ্ঞা ধরন এখনও জানা যায়নি। রিপাবলিকানদের ওই দুই সিনেটররা ছাড়াও অন্যান্যরা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল-এক্সিকিউটিভ কমিশনের ক্রিস স্মিথ ও ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের অ্যাম্বাসেডর স্যাম ব্রাউনব্যাক।

সোমবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপের শামিল, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল নিয়ম-নীতির গুরুতর লঙ্ঘন। এই নিষেধাজ্ঞা চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের মারাত্মক ক্ষতি করছে।

তিনি বলেন, পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আরও প্রতিক্রিয়া জানাবে চীন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি চীনা এই কর্মকর্তা।

জিনজিয়াংয়ে উইঘুর নিপীড়নের ঘটনায় চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মূল ক্রীড়ানক হিসেবে সিনেটর রুবিও ও ক্রুজকে দেখে বেইজিং। এছাড়া করোনাভাইরাস মহামারি, হংকং সঙ্কট ও জিনজিয়াং ইস্যুতে চীনের সমালোচনা করতে দেখা যায় স্মিথকে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ এবং কর্মকর্তারা বলেছেন, জিনজিয়াংয়ের বন্দি শিবিরে অন্তত ১০ লাখ জাতিগত উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিমদের আটকে রেখেছে চীন। তবে চীন জিনজিয়াংয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা দূর করতে উইঘুরদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় বলে দাবি করে আসছে।

আরও পড়ুন: জাদুঘর মসজিদ হওয়ায় কষ্ট পেয়েছেন পোপ!

এর আগে, চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির জিনজিয়াং শাখার কর্মকর্তাসহ জ্যেষ্ঠ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, ভ্রমণ নিষিদ্ধ এবং মার্কিনিদের সঙ্গে তাদের ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।


ইত্তেফাক/আরআই