মুদি দোকানে কাজ
আরিফা জাহান বিথীর জন্ম নিম্নবিত্ত একটি পরিবারে। চার ভাইবোনের পরিবারে বাবা খুব একটা দায়িত্ব পালন করতেন না। বাধ্য হয়ে মা-কে বাড়ির পাশে একটা মুদি দোকান কাজ নিতে হয়। মায়ের কষ্ট দেখে সাহায্যের জন্য স্কুল ছুটির পর বাকি সময়টায় মুদি দোকান চালাতেন। খেলাধুলায় বেশ পারদর্শী ছিলেন। প্রতিবছর স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অন্তত চার-পাঁচটা পুরস্কার পেতেন। হাই জাম্প, লং জাম্প, ক্রিকেট—এসব খেলায় আগ্রহ ছিল।
নারীদের জন্য ক্রিকেট একাডেমি
একসময় বাবা-মাকে অনেক বুঝিয়ে ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হন। কিন্তু প্রতিদিন রিকশা ভাড়া দিয়ে অনেক দূরে অনুশীলনে যোগ দেওয়া সম্ভব হতো না। তবু চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। একসময় খেলতে শুরু করেন বিভিন্ন লীগে। কিন্তু নাকের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে খেলা থেকে অবসর নিতে হয়। কিন্তু বিথী এতে থেমে থাকতে চাননি, নারীদের জন্য গড়ে তুলতে চেয়েছেন ক্রিকেট একাডেমি। ৩০ জনকে নিয়ে শুরু করা এই একাডেমিতে বর্তমানে অনুশীলন করছেন ২৫০ জন। বেশকিছু টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন এই একাডেমির খেলোয়াড়রা।
করোনাকালে স্বেচ্ছাসেবা
করোনার সময় ঘরবন্দী সময়টাতে মানুষ যখন খাবারের জন্য কষ্ট পাচ্ছিল তখন নিজের স্কুটি কেনার জন্য জমানো টাকায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিথী। গর্ভবতী মায়েদের ঘরে ঘরে খাবার ও ওষুধসামগ্রী দিয়েছেন। বর্তমানে স্নাতকে অধ্যয়নরত বিথী। নিজের ক্রিকেট একাডেমির পাশাপাশি সেবামূলক কাজে আজীবন মানুষের পাশে থাকতে চান এই তরুণী।