তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদের অসামান্য কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ৪২ জন সফল ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এবং ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হুমায়ুন কবীর।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সারাদেশ জুড়ে অসংখ্য প্লাটফর্ম তৈরি করে তথ্য প্রযুক্তি খাতকে বর্তমান সরকার শক্তিশালী স্তম্ভের উপর দাঁড় করিয়েছে। দেশে তিন লাখ উদ্যোক্তা ই-কমার্স খাতে কাজ করছেন। সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সারসহ ২০ লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি খাতে বলে তিনি জানান।
পলক বলেন, দেশের ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঐকান্তিক চেষ্টায় ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
পলক আরও বলেন, করোনাকালীন সময়ে দেশের উদ্যোক্তারা বসে থাকেননি। বিদেশে না গিয়েও বিদেশী কোম্পানিতে স্বাধীন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেছেন, বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করেছেন। ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী ৫৩ হাজার প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সফল চার হাজার ফ্রিল্যান্সারের হাতে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে পর্যায় ক্রমে ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হচ্ছে।