আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের মতো খুব সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ দিনের কথা কল্পনা করে আসা যাক। যদি এমন হতো, একদিন আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে প্রতিটা বাচ্চা হাসিমুখে স্কুলে যাচ্ছে? শুধু পাস করার জন্য নয় বরং শেখার আনন্দ নিয়ে বাচ্চারা স্কুলে পড়াশোনা করছে? বিজ্ঞানের প্রতিটা মজার মজার এক্সপেরিমেন্ট হাতে-কলমে করছে?
এ কল্পনার জগতে ঘুরে আসতে নিশ্চয় সবারই ভাল লেগেছে খুব। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে এখনো অনেক ফারাক। এই দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীতে শিশুরা এখনো খুব অবহেলিত একটা পরিবেশে বড় হচ্ছে। শিক্ষার হার তুলনামূলক বাড়লেও এখনো অনেক শিশুই তাদের প্রকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আছে শিশু শ্রমের মতো প্রকট কিছু সমস্যাও। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও বিভিন্ন হলে হলে গেলে আপনি দেখতে পাবেন, শিশুরা বিভিন্ন দোকান কিংবা ক্যান্টিনে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন কাটানো এইসব হলে এখনও শিশু শ্রম রয়েই গেছে।
আমাদের প্রিয় বঙ্গবন্ধু কিন্তু শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং মনে করতেন আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতের কর্ণধার হিসেবে প্রাধান্য দিতেন। আশার ব্যাপার হলো, আমাদের এই শিশুরাই বিশ্বমঞ্চে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিনিধিত্ব করে, যা অত্যন্ত গর্বের। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কে শিশু দিবস হিসেবে পালন করার মাঝের একটা সৌন্দর্য আছে, বঙ্গবন্ধুর মতো আমরাও যদি শিশুদেরকে সমান গুরুত্ব দেই, তাদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হই, তবে বাংলাদেশে এক সোনালী ভবিষ্যত প্রজন্ম পাবে, এটাই প্রত্যাশা।
—রুপালি তাসনিম সামাদ, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কবি সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়-
“যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো
বাঙালির মহান জনক
তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয়কণ্ঠ
শৌর্য আর অমিত সাহস
টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে আমাদের গ্রামগুলো
তোমার সাহস নেবে।
নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা।”
আজ ১৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। বাংলাদেশ ১৯৯৭ সাল থেকে দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস পালন করে আসছে। বঙ্গবন্ধু যে দিনে পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন সেদিনটি-কেই শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পেছনে রয়েছে যৌক্তিক কারণ। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত স্নেহ করতেন এবং ভালোবাসতেন। শিশুদের সাথে ছিল তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ছোট ছেলে-মেয়েদের সাথে তিনি সব সময় হাসি, খেলা, গল্প করতেন। বঙ্গবন্ধুর অনেক স্থিরচিত্রে দেখা গিয়েছে তিনি শিশুদেরকে একটি বিছানার উপর নিয়ে খেলাধুলা করছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। কাজেই তাদেরকে যোগ্য করে তুলতে হবে।
আজকের নতুন প্রজন্মেদেরকে মহান এই নেতার আদর্শ-ই দেশ গড়ার অনুপ্রেরণা যোগাবে। যারা বাংলাদেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন আজীবন।
—জান্নাতুল ফেরদৌস, শিক্ষার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা হওয়ার আগেও ছিলেন একজন আদর্শবান দেশপ্রেমিক, জনদরদি মানুষ। তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলী যেমন মুগ্ধ করেছে সারা বিশ্বকে ঠিক তেমনি মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা, স্নেহ মমতা, মনুষত্ববোধ ও মানবিক গুণাবলী তাঁকে সবার থেকে আলাদা করে তুলেছে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী, এবং শৈশব থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও প্রতিবাদী। তিনি যেমন নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে অগ্রগামী ছিলেন, তেমনি অন্যের দুঃখ-দুর্দশায় সবার আগে পাশে দাঁড়াতেন।
আজকালকার শিশু-কিশোরদের মাঝে এই গুণাবলীগুলো খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। শিশুদের মাঝে অনেকেই অন্যায় কার্যক্রমে যেমন জড়িয়ে পড়ছে, ঠিক তেমনি অনেকে আবার অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পিছপা হচ্ছে। আজকের শিশু কিশোররা ক্ষেত্রবিশেষে আত্মকেন্দ্রিক হওয়া শিখছে। তারা অনেকেই অন্যের উপকার করতে কিংবা সমাজের উন্নয়নে নিচু শ্রেণীর মানুষকে সাথে নিয়ে কিভাবে সুন্দর সমাজ তৈরি করতে হয় সে বিষয়গুলো শিখছে না। দুটি প্রবাদ বাক্যের কথা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, 'আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ' এবং 'যার নয়ে হয়না তার নব্বুইয়েও হয়না'। অর্থাৎ আজকের শিশুদেরকে আমরা যেভাবে তৈরি করব, তারা বড় হয়ে দেশটাকে সেভাবেই পরিচালনা করবে। শিশু কিশোররা বেড়ে উঠুক সুন্দর ও সঠিকভাবে। শিশুদের শৈশব বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পরিপূর্ণ হলে, তবেই তো তারা হবে সোনার বাংলার উপযুক্ত কর্ণধার।
—আলী মর্তুজা, শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্।
আমেরিকার বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেমস বাল্ডউইন বলেছেন, 'বড়দের কথা শোনার ক্ষেত্রে শিশুরা খুব দক্ষ নয়, তবে বড়দের অনুসরণ করার ক্ষেত্রে তারা কখনো ব্যর্থ হয় না।' তাই শিশুদের নৈতিকতা শেখানোর সব থেকে কার্যকরী উপায় হলো, বড়দের নৈতিকতা চর্চা করা৷ শিশুরা কাদা মাটির মত; আমরা যেভাবে চাইবো, তাদের সেভাবে গড়ে তুলতে পারবো। তাই শিশুদের সামাজিকীকরণে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের কর্মকান্ড। আজকের শিশুরাই আগামীর কর্ণধার। তাই তাদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেভাবে করলে তারা যোগ্যতার সাথে আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। শিশুরা কি চিন্তা করবে তা নয়। বরং কিভাবে চিন্তা করবে আমাদের তা শিখিয়ে দিতে হবে।
—ইসমাইল চৌধুরী, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
একটা কুঁড়ি। নবজীবন। নতুন প্রাণ। নতুন সম্ভাবনা। ঠিক আজকের দিনে টুঙ্গিপাড়ার এক টিনের ঘরে কেঁদে উঠেছিল একটি শিশু। চিৎকার করে জানান দিয়েছিল তার অস্তিত্ব। বাবা মায়ের চোখে এনেছিল জল। ধীরে ধীরে শত বসন্ত পেরিয়ে গেলো। লেখা হলো অজস্র মহাকাব্য। মানবতার বরপুত্র হয়ে আদর শাসনে জয় করে নিলেন কোটি জনগণের ভালোবাসা। শেখ মুজিব। আপন নামেই উজ্জীবিত এক মহাকাব্য। কত গল্প ,কত কবিতা, জেলের নৌকা, নদীর ঢেউ সবেতে শুধু এক গান-এক কথা, মুজিব মোদের গরব, মোদের আশা।
একটি শিশু, একটি অপার সম্ভাবনা। ভূমিষ্ঠ হবার পরক্ষণ থেকে বড়ো হওয়া পর্যন্ত একটি শিশুকে গড়ে তোলা সম্ভব নিপুণ শিষ্টাচারে, কঠোর আদর্শে। দেশপ্রেমে বলীয়ান নাগরিক, সকল মানুষের পরম বন্ধু হয়ে উঠতে পারে একটি কুঁড়ি। হয়ে উঠতে পারে একটি মহীরুহ। যার ছায়ায় প্রাণ জুড়াবে সকলের। যেই ছায়ায় পরম নিরাপত্তায় চোখ মুদবে পথিক। ঘ্রাণ নেবে নব পরিস্ফুটিত পুষ্পের। পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দেবে, আশীর্বাদ করবে। শতবর্ষী হও।
আজ মহীরুহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর জন্মদিন। সেই মহীরুহ এক অপার সম্ভাবনার বার্তা নিয়ে হাতছানি দিয়ে ডাকছে আমাদের নতুন সকল কুঁড়ি কে।
সেই ডাক কি উপেক্ষা করা যায়!
বলতেই তো পারি,
“একটি মুজিব ঘুমিয়ে আছে সব শিশুদের অন্তরে”
—মো. তৌহিদ আহমেদ খান, শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
শিশুরা যে কতটা অসহায় সেটা বলাবাহুল্য।প্রতিবছর শিশুদের একটা অংশ অপুষ্টির শিকার হয়, শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে মা-বাবার অজ্ঞতার কারণে। মাকে বলা হয় একজন শিশুর সর্বোচ্চ নিরাপদ স্থান, কিন্তু সেখানেও সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটি অনিরাপদই থেকে যায়। আজকাল ডাস্টবিনের মধ্যে শিশুকে ময়লা হিসেবে নিক্ষেপ করা হয়। পথশিশু, এতিমশিশু এসব বিশেষন থেকেই বুঝা যায় তারা কতটুকু নিঃস্ব! তারা জন্মের পর থেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম পরিবেশের সম্মুখীন হয়। তাকে অপরিণত বয়সে ভারী কাজ করতে হয় দুমুঠো ভাতের আশায়; নয় তো ডাস্টবিনে পরিত্যক্ত খাবারের সন্ধানে।
শিশু নির্যাতনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার মাফিয়া চক্র, তারা শিশুদের বিরাট একটা অংশকে তাদের কুক্ষিগত করে রাখে। তারপর শিশুপাচার, ভিক্ষাবৃত্তি তথা শিশুদেরকে অসামাজিক কাজে লাগিয়ে নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করে থাকে। যদিও মানবজাতি সভ্য থেকে সভ্যতর সমাজে উন্নীত হচ্ছে, তবু আজকের আধুনিক সমাজে শিশু নির্যাতন ক্রমাগতই বেড়ে চলেছে। তাছাড়া ৪ বছরের একটা শিশুর যতটা বিনোদনের প্রয়োজন ততটা না দিয়ে তার বদলে বইখাতা দিয়ে তাকে বাধ্য করা হয় অসময়ে পড়াশুনা করতে। এতে শিশুর সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এই সুন্দর ভূবনে শিশুদের আর্তনাদ, হৃদয়স্পর্শী দৃশ্য আমাদেরকে জানিয়ে দেয় আমরা আজও বর্বর, অমানবিকই রয়ে গেলাম।
—অসীম চন্দ্র দাস, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
আজকের শিশু আগামী দিনের কাণ্ডারী। বাংলায় প্রবাদ আছে, ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সকল শিশুর অন্তরে। আমারা যদি আগামী দিনে সুস্থ-সবল জাতি পেতে চাই, তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই শিশুদের প্রতি যত্নবান হতে হবে।
শিশুর প্রতি অবহেলা মানে সমস্ত জাতিকে অবহেলা করা। সাধারণত আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে শিশুদেরকে কম কদর করতে দেখা যায়। তারা মনে করে, শিশু তো সারা জীবন খাবেই। তাই ভালো-মন্দ শিশুকে না দিয়ে বয়স্কদের খাওয়ানো হয়। এতে করে শুধু শিশুর সুন্দর বিকাশই নষ্ট হয় না। বরং সমস্ত জাতি অপুষ্টিজনিত রোগে ভোগে। তাই শিশু দিবস উদযাপনের মাধ্যমে তাদের কাছে সঠিক বার্তা পাঠানো যায়।
তাছাড়া আমাদের দেশে অনেক সময় শিশুদের উপর অনেক কাজ চাপিয়ে দেয়া হয়। যা রীতিমতো অপরাধের পর্যায় পড়ে। শুধু আইনের প্রয়োগ করেই শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব নয়। চাই সামাজিক সচেতনতা। শিশু দিবস এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অনেক বাবা-মা না বুঝে সন্তানদের উপর অতিরিক্ত পড়াশোনা চাপিয়ে দেয়, যা তার পক্ষে বহন করা সম্ভব হয় না। এরপর সে শিশু যখন পেরে না ওঠে, শুরু হয় মানসিক নির্যাতন। অনেক সময় বাইরে খেলতে যাওয়ার সময় তাকে পড়ার টেবিলে বসতে হয়। ফলে শিশুটির মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। শিশু দিবস উপলেক্ষে সবাই সচেতন হোক, বেড়ে উঠুক আগামীর নেতা সুস্থ-সবল ভাবে।
—রকিবুল হাসান, শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ।
পৃথিবীতে সবচেয়ে নিষ্পাপ ধরা হয় শিশুদের। শিশুরা পবিত্রতার প্রতীক। যাদের দেখলেই প্রশান্তি পাওয়া যায়। অথচ আজ পৃথিবীর দিকে তাকালে দেখা যায়, সমস্ত জায়গায় শিশুরা অবহেলিত, নির্যাতিত। বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে। আবার একবিংশ শতাব্দির গ্লোবালাইজেশন এবং ডিজিটালাইজেশনের যুগে শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক দিক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শিশুদের উপরও দয়া দেখানো হয় না। আবার অন্যান্য অঞ্চলের শিশুরা ক্ষুধা দারিদ্রতার শিকার অথবা ব্রাহ্মণ্যবাদী অপসংস্কৃতির প্রভাবে এবং বিভিন্ন গ্যাজেটের কারণে তাদের মনস্তাত্ত্বিক গঠন সঠিকভাবে হচ্ছে না। অথচ এই শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তারাই আগামীর পৃথিবী বিনির্মাণে কাজ করবে। অথচ তাদের মনস্তাত্ত্বিক বিনির্মাণে আমরা কতটুকু সচেতন! আমাদের বস্তাপঁচা রাজনীতি, বণ্টন-বৈষম্যের অর্থনীতি এবং অপসংস্কৃতি আমাদের শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক এবং শারিরীক বিকাশে বাধা দিচ্ছে। পুঁজিবাদী সমাজের প্রতিযোগিতায় আমরা, আমাদের হাতে সময় কোথায় আদরের ভবিষ্যতের জন্য! একটি দেশের তরুণ প্রজন্মই তার ভাগ্য বদলের হাতিয়ার। তাই এসব সংকটের মোকাবেলা আমাদেরই করতে হবে। তবেই আমাদের শিশুদের সুস্থ-সুন্দর বসবাসযোগ্য পৃথিবী উপহার দিতে পারবো; যেখানে তারা প্রশান্তির হাসি হাসবে। এই পৃথিবীকে বিনির্মাণে তারা এগিয়ে আসবে।
—জান্নাতারা তাবাসসুম, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।