রমজান মাস মুসলমানদের জন্য ইবাদতের অন্যতম মাস। ত্রিশ দিন ভোররাতে সেহরি করে সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় ইফতার করেন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীদের জীবনও এর বাইরে নয়। করোনাকালীন ক্ষতি পোষাতে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়েও চলমান রয়েছে সশরীরে শ্রেণী কার্যক্রম।
চার হলের শিক্ষার্থীরা জানান, হলের খাবারের দাম ও মান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। আর খাবার মেন্যুতে যা দেখানো হয়েছে তা বাস্তবে নেই।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্লাবন অভিযোগ করে বলেন, রমজানে খাবারের দাম বাড়লেও বাড়েনি পরিমাণ ও গুণগত মান। হলগুলোতে আইটেমের নামে কয়েকটি পদ একত্র করে রাখা হচ্ছে চড়া দাম। রমজানে এমনিতেই খরচ বেশি হওয়ার কথা উল্লেখ করে ক্যান্টিনের এমন বেহাল দশায় নিজেদের ভোগান্তির কথা জানান একাধিক শিক্ষার্থী। আর সেহরিতে আইটেম শুধু মাছ ডাল রাখা হচ্ছে বেশির ভাগ সময়। যা আমাদের জন্য নিয়মিত খাওয়া কষ্ট সাধ্য।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিন বেলার আয় পোষাতে সেহরির একবেলার খাবারের দাম বাড়িয়েছে হল ক্যান্টিনগুলো।
আবাসিক হল কর্তৃপক্ষের কাছেও নেই কোনো সদুত্তর। হল প্রশাসনও বলছে ‘ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
ক্যান্টিনের খাবারের দাম বৃদ্ধি ও মানের বেহাল দশার অভিযোগের বিষয়ে ক্যান্টিনের ম্যানেজাররা জানান দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের খাবারের দাম বাড়াতে হয়েছে।