শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কৃষ্ণচূড়ায় সুশোভিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট : ০৯ মে ২০২২, ১৫:০৪

বৈশাখের সূর্য। কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত বাতাস। প্রকৃতি যখন প্রখর রৌদ্রে পুড়ছে, কৃষ্ণচূড়া ফুল তখন সৌন্দর্যের বার্তা নিয়ে এসেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) ক্যাম্পাসে। 

গ্রীষ্মের এই নিষ্প্রাণ তাপমাত্রা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরেছে আপন মহিমায়। ঈদের ছুটি শেষে ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতেই  হয়তো প্রকৃতির এ আয়োজন।

ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, ক্যাফেটেরিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায়  ডালপালা ছড়ানো কৃষ্ণচূড়াগুলো সৃষ্টি করেছে রক্তিম বর্ণের এক মোহনীয়তা। ছোট্ট এ ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়াগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। ক্যাম্পাসে যেন সবুজ প্রকৃতির মাঝে লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে প্রকৃতি, যে কারো চোখে এনে দেয় শিল্পের দ্যোতনা।

কবিগুরুর ভাষায়,‘গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে, তোমার উত্তরী কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরি।’

দূর থেকে দেখলে মনে হয়, বৈশাখের রোদ্দুরে সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়েছে রক্তিম পুষ্পরাজি; সবুজ চিরল পাতার মাঝে যেন আগুন জ্বলছে। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয় অবসন্ন পথিকের মনে। তাপদাহে ওষ্ঠাগত পথচারীরা পুলকিত নয়নে, অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেন এই সৌন্দর্য।

জাতীয় কবি নজরুলও কৃষ্ণচূড়ায় মুগ্ধ হয়ে লিখেছেন,‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে, আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে।’

ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীই বলেন, সৌন্দর্যবর্ধক গুণ ছাড়াও এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। মুকুল ধরার কিছু দিনের মধ্যে পুরো গাছ ফুলে ফুলে ভরে যায়। কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো বড় ৭/৮টি পাপড়িযুক্ত গাঢ় লাল। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের মানুষের কাছেও সমান গুরুত্ব বহন করে। শখের বশে এ গাছের কদর থাকলেও এর কাঠ তুলনামূলক দামি না হওয়া এবং ভালো কোনো ব্যবহারে না আসায় বাণিজ্যিকভাবে এ গাছ বপনে আগ্রহ অনেক কম। তবে ক্যাম্পাসকে আরও সুন্দর করতে কৃষ্ণচূড়া লাগোনো যেতে পারে।

/এএইচ/

ইত্তেফাক/এআই