বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ককপিটের গল্প শোনান ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ

আপডেট : ১১ মে ২০২২, ২০:৪৯

পাখির মতো ডানা মেলে আকাশে উড়ার স্বপ্ন মানুষের প্রাচীনকাল থেকেই। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে উড়োজাহাজ। উড়োজাহাজে চেপে ভ্রমণের সুযোগ হলেও এটি কীভাবে চলছে বা ককপিটের মধ্যে কেমন সব কার্যক্রম হচ্ছে তা জানা সম্ভব হয় না। তাই সঙ্গত কারণেই উড়োজাহাজ নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। আর সেই কৌতূহল নিবারণ করছেন ফ্লাইট ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক।

ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ দেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিমান সংস্থায় কর্মরত। দীর্ঘদিনের বিমান চালনার অভিজ্ঞতায় দেখেছেন সাধারণ মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে জানতে চায় বিমানের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সম্পর্কে। কীভাবে বিমান উড্ডয়ন করে, অবতরণ করে, বিমানের ব্রেক দেখতে কেমন, তেল কোথায় থাকে কিংবা জরুরি মুহূর্ত মোকাবিলায় কী ধরনের প্রস্ত্ততি থাকে—এমন নানা প্রশ্নে জর্জরিত হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। তাই সাধারণ মানুষকে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি তৈরি করছেন এভিয়েশন ভিডিও এবং আপলোড করছেন নিজের স্যোশাল মিডিয়ায়।

উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেনের আসনে আব্দুল্লাহ

অল্প কিছুদিনে সাড়াও মিলেছে দারুণ। দর্শকরা তাদের আগ্রহের বিষয় ও প্রশ্ন জানায় কমেন্ট বক্সে। পরবর্তী ভিডিওতে সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ। ভিডিও ধারণ ও এডিটিংয়ের দক্ষতা না থাকায় প্রথমদিকে একটু বেগ পেতে হতো। তবে এখন দর্শক, শুভাকাঙ্ক্ষীরাই তার ভিডিও এডিটিং করে দিচ্ছেন। ইত্তেফাককে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ বলেন, ‘একজন কাছের মানুষের পরামর্শ ও সহযোগিতায় আমি প্রথম ভিডিওটি তৈরি করি এবং স্যোশাল মিডিয়ায় আপলোড করি। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ভিডিওটি কয়েক মিলিয়ন ভিউ লাভ করে। এবং কমেন্ট বক্সে দর্শকদের প্রশংসা এবং এমন ভিডিও আরও দেখতে চাওয়ার আগ্রহ দেখে আমি এভিয়েশন নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করার চিন্তা করি।’

ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ'র জন্ম সিলেটের কুলাউড়ায়। বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। বাবার চাকরি সূত্রে আব্দুল্লাহর ছেলেবেলা কাটাতে হয়েছে একাধিক জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত একটি কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তারপর ভর্তি হন একটি এভিয়েশন ফ্লাইং ক্লাবে। সেখান থেকে ডিগ্রি নিয়ে শুরু করেন কর্মজীবন। কর্মজীবনে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ দেশ ও বিদেশের বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থার সাথে কাজ করেছেন। কর্মজীবন শেষে দেশের বর্ণাঢ্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বিমান নিয়ে মানুষের কৌতূহল নিবারণের প্রচেষ্টায় দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের এভিয়েশন মিউজিয়াম করার ইচ্ছা রয়েছে তার।

 

ইত্তেফাক/এসটিএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন