শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খুলনায় ছাত্রলীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

আপডেট : ২৬ মে ২০২২, ২০:১৬

খুলনায় ছাত্রলীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষে নগরীর প্রাণকেন্দ্র পিকচার প্যালেস মোড় থেকে সদর থানার মোড় পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্রলীগ ও বিএনপির অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, সংঘর্ষ চলাকালে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ রেহেনা ইসা, সাবেক কাউন্সিলর আনজিরা খাতুন, কাওসারী জাহান মঞ্জু ও মুন্নীজামানসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের কটূক্তির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে শহিদ হাদিস পার্কে মহানগর ছাত্রলীগ প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচির আয়োজন করে। অপরদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহানগর ও জেলা বিএনপি সমাবেশ আয়োজন করে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৪টার দিকে ছাত্রলীগ হাদিস পার্কের সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে পিকচার প্যালেস মোড়ের দিকে যায়। অপরদিকে কেডি ঘোষ রোডের সমাবেশ থেকে বিএনপির কর্মীরা পুলিশকে ধাওয়া করে। এ সময় পুলিশ পিছু হটে পিকচার প্যালেস মোড়ের দিকে যায়। পরে পুলিশ ও ছাত্রলীগ বিএনপির কর্মীদের পাল্টা ধাওয়া করে। এছাড়া যুবলীগের আরেকটি গ্রুপ কেডি ঘোষ রোডের দক্ষিণ দিক থেকে থানার সামনে থেকে বিএনপির কর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় দুইপক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় পিকচার প্যালেস থেকে কেডি ঘোষ রোডের বিএনপির অফিসের সামনের গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।  সংঘর্ষে ছাত্রলীগ ও বিএনপির অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এতে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫-২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। 

সংঘর্ষ চলাকালে উভয় দলের কর্মীরা দোকানপাট ভাঙচুর করে। এ সময় আতঙ্কে নগরীর দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিএনপি অফিসের সামনে রক্ষিত পাঁচ শতাধিক চেয়ার ও বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ ও ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়।

সমাবেশ থেকে হামলা করা হয়।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর বিএনপি হামলা চালিয়েছে।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ছাত্রদলের নেতারা পুলিশের ওপর হামলা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ৫০ রাউন্ড টিয়ারশেল, ১৫০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ১৪ জন সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 

ইত্তেফাক/ইউবি