শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আড়াই বছরেও চালু হয়নি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর

আপডেট : ১৩ জুন ২০২২, ১৭:৫১

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থলবন্দরগুলোর ইমিগ্রেশনে বিদেশি নাগরিকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় ভারত। গত বছর শুরুর দিকে করোনা কমে আসলে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ভিসা দেওয়া শুরু করে ভারতীয় সরকার। চলতি সালের মার্চ থেকে সবধরনের ভিসা দেওয়াও শুরু হয়। কিন্তু ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে এই রুটে ভিসা না দেওয়ায় এখনো চালু হয়নি এই স্থলবন্দর। এতে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়েছেন দেশের একমাত্র চতুদের্শীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট ভারত, নেপাল এবং ভুটানের যাত্রীরা। 

বাংলাদেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন। এই ইমিগ্রেশন দিয়েই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ীসহ পর্যটকরা ভারত, নেপাল এবং ভুটানে যাতায়াত করেন। করোনা সংক্রমণের পর ভারতীয় বিভিন্ন রুটে ভিসা প্রদান করা হলেও বাংলাবান্ধার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতের ফুলবাড়ি রুটে কোনো ভিসা দেওয়া হচ্ছেনা। দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করা গেলেও বাংলাবান্ধা দিয়ে যেতে পারছেনা বাংলাদেশিরা।  

করোনার আগে এই রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভারত, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের দার্জিলিং, কাঞ্চনজঙ্ঘা, সিকিম, গ্যাংটক, ডুয়ার্সসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় যাতায়াত করতো । অনেকে চিকিৎসা এবং ব্যবসার নানা কাজে ভারতে ভ্রমণ করতো। কিন্তু বর্তমানে ফুলবাড়ি রুটে ভিসা না দেয়ার কারণে নানা সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশীরা। তারা অতিদ্রুত ফুলবাড়ি বন্দর দিয়ে ভিসা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন । 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছর লক্ষ্যমাত্রার থেকে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় হয় এই বন্দর থেকে। কিন্তু ভিসার রুট সমস্যার কারণে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য রুট দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। 

শিক্ষার্থী এবং রোগীরা বলছেন, ভারতের শিলিগুড়ি দিয়ে খুব সহজে মাদ্রাজ, বাঙ্গালোর, কলকাতা, দিল্লী  বিভিন্ন শহরে যাওয়া যায়। তাই বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি রুটে দ্রুত ভিসা চালু করা দরকার । তারা বলছেন, এই বন্দর দিয়ে ভিসা সংকট দুর হলে দুর্ভোগ কমে যাবার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে ।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন বলেন, দেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা, যা দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর। ব্যবসা, চিকিৎসা, ভ্রমণ এবং ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের জন্য এই রুট ব্যবহার করে। কারণ খরচ কম। কিন্তু এখনো এই রুটে ভারতীয় ভিসা না দেওয়ার কারণে আমরা নানা সংকটে পড়ছি। বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত সমাধানের জন্য দুই দেশের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  

বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন ওসি নজরুল ইসলাম জানান, বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু রয়েছে। ভিসার ব্যাপারে এখনো কোনো চিঠি পাইনি। যার কারণে ভ্রমণ ভিসার অনুমতি না থাকায় কেউ এ রুট দিয়ে ভারতে যেতে পারছেন না। তবে শিগগিরই বিষয়টি সুরাহা হতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি