শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নার্সিং সেক্টরে বিস্ময়কর সাফল্য

১৪ বছরে ৪০ হাজার নার্স নিয়োগ, প্রক্রিয়াধীন আরো ৫ হাজার

আপডেট : ২২ জুন ২০২২, ০২:০০

দেশের নার্সিং সেক্টরে বিস্ময়কর সফল্য অর্জিত হয়েছে। গত ১৪ বছরে ৪০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে সরকার। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এবং সুস্থ ও নিরোগ জাতি গঠনের লক্ষ্যে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নার্স ও মিডওয়াইফ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতাধীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর।

বাংলাদেশের নার্সিং পেশার মানোন্নয়নের জন্য সর্ব প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি উচ্চ শিক্ষিত নারীদের এ পেশায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে সিনিয়র স্টাফ নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দিয়ে তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। বাংলাদেশের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পেশাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহযোগিতায় ২০১৬ সালে পূর্বতন সেবা পরিদপ্তরকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে রূপান্তর করা হয়। দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আরো প্রায় ৫ হাজার নার্স নিয়োগের কার্যক্রম চলমান। নার্সদের পেশাগত ও শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে বর্তমানে রাজধানীর মহাখালীতে নিজস্ব ভবনে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক নার্স নিয়োগ এবং অসংখ্য নতুন নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হলেও সেবা ও শিক্ষা খাত এতদিন চলেছে পুরোনো আমলের নিয়োগ বিধিমালা দিয়ে, যা যুগপোযোগী করে নার্সদের পদ উন্নতির ক্রমবিকাশ সাধনে বর্তমান এবং নতুন নিয়োগ বিধিমালা ও পদোন্নতি নীতিমালা প্রণয়ন প্রায় চূড়ান্তের পথে। বাংলাদেশের নার্সিং সেবা ও শিক্ষার মান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং বিশেষায়িত নার্স তৈরির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার রাজধানীর মুগদায় প্রতিষ্ঠা করেছে জাতীয় নার্সিং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (নিয়ানার)।

২০২১-২০২২ অর্থবছরে নার্স ও মিডওয়াইফদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার বলেন, উন্নয়ন বাজেটের আওতায় বিভিন্ন কোর্সে প্রায় ২০ হাজার নার্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পেশা ও সেবাকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে তথা জনগণের দোরগোড়ায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সকলেই নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেন, জনগণের জন্য মানসম্মত নার্সিংসেবা নিশ্চিতকরণে ও আধুনিক নার্সিং শিক্ষা সম্প্রসারণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে নার্স কর্মকর্তাগণও একইভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিভী‌র্ক সৈনিক হিসেবে নিজেদের সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন। সারা দেশে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমেও তাদের ভূমিকা প্রশংসার যোগ্য। মোটকথা, স্বাস্থ্য খাতে সরকারের সাফল্যের অন্যতম অংশীদার নার্সরা।

ইত্তেফাক/ইআ