শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খানসামায় জ্বর-সর্দির রোগী বাড়ছে

আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২২, ০৩:১৮

দিনাজপুরের খানাসামা উপজেলায় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। এতে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। এদিকে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সর্বত্রই এখন জ্বর-সর্দি আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগেই প্রায় আড়াই হাজার রোগী জ্বর ও সর্দি নিয়ে এসেছেন। অন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩০০ জন রোগী। সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দেখা যায়, বহির্বিভাগে রোগীর দীর্ঘ লাইন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে শয্যা খালি না থাকায় মেঝেতেই শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। এ দিন জ্বর ও সর্দির প্রায় ৪৫০ জন রোগী সেবা গ্রহণ করে।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা গোয়ালডিহি গ্রামের জেসমিন আক্তার বলেন, তিনি তিন দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগছেন। এতদিন দোকান থেকে ওষুধ কিনে খেয়েছেন। এতে কোনো উপকার না পাওয়ায় হাসপাতালে এসেছেন। আঙ্গারপাড়া গ্রামের নদী পাড়ার কৈলানী রায় বলেন, তার দুই বছরের সন্তানের এক সপ্তাহ ধরে জ্বর ও সর্দি। কোনো ওষুধেই কাজ হচ্ছে না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হাসপাতালে এসেছে। পাকেরহাট এএফআর মেডিসিন মার্টের স্বত্বাধিকারী বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ সংকট থাকলেও অন্যান্য কোম্পানির ওষুধ পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে অনেক ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন ও তীব্র গরমের কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ ঠিক আছে। তবে জনবল সংকটে অনেক রোগীর চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও আমরা রোগীদের সেবায় সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ইত্তেফাক/এমএএম