বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার, থানা হেফাজতে স্বামী

আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৬:১৬

নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রেম করে কলেজছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে নাটোর সদরের বলারিপাড়ার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর পৌর সদরের খামারনাচকৈড় মহল্লার খয়বর আলীর মেয়ে। তিনি খুবজিপুর এমহক কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। স্বামী মামুন হোসেন উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পলশুড়া-পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে নাটোর এনএস কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসিম উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষিকার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারি। শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে লাশ ঝুলন্ত থাকার খবর পেলেও লাশটি শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’

ওসি আরও বলেন, ‘সকালে শিক্ষিকার স্বামী মামুন হোসেন বাড়িতেই ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।’

নান্নু মোল্যা ম্যানশনের প্রহরী নিজাম উদ্দিন ইত্তেফাককে বলেন, ‘শনিবার রাতে মামুন-খায়রুন দম্পতি বাসায় ছিলেন। রাত দুইটার দিকে মামুন আমার কাছ থেকে প্রধান ফটকের চাবি নিয়ে বাইরে যান। ভোর ৬ টার দিকে বাসায় ফিরে আসেন এবং ৭ টার সময় তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান। পরে মামুনকে আটক করে রাখা হয়।’

নিহত শিক্ষিকার স্বামী কলেজছাত্র মামুন হোসেন ইত্তেফাককে জানান, ‘রবিবার ভোর চারটার দিকে ঘুমন্ত স্ত্রীকে রেখে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাইক নিয়ে নাটোর জেলা কারাগারের সামনে গিয়েছিলেন। ভোর ৫টার দিকে ফিরে দেখেন দরজা খোলা এবং শোবার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে স্ত্রীর দেহ ঝুলছে। এরপর তিনি ওই ফ্ল্যাটের প্রহরীকে খবর দেন।’

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসিম উদ্দিন ইত্তেফাককে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষিকার স্বামী মামুন হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।’

ইত্তেফাক/এমআর