বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৫৬, আহত ৭০০

আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২২, ১৮:৫৫

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে সোমবার আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬।  এতে কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছেন। ধসে গেছে শত শত বাড়িঘর। খবর রয়টার্সের।

সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১টা ২০মিনিটের দিকে পশ্চিম জাভায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, পশ্চিম জাভার সিয়াঞ্জুর শহরের ১০ কিলোমিটার ভূগর্ভে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে।

সিয়াঞ্জুর শহরের স্থানীয় প্রশাসনের মুখপাত্র আদমের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, এখানে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। শত শত এমনকি হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এখানে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন

জাভায় আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে দেশটির সাবেক রাজধানী জাকার্তাও। পশ্চিম জাভার সিয়াঞ্জুর শহর ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বলে সেখানকার সরকারি কর্মকর্তা হারমান সুহারম্যান জানিয়েছেন।

স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল কম্পাস টিভিকে হারমান জানান, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পে ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। অনেক এলাকা থেকে ভুক্তভোগীরা আসছেন। প্রায় ৭০০ জন আহত হয়েছেন।

একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

এরআগে, মেট্রো টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, কেবল একটি হাসপাতালেই এখন পর্যন্ত ২০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং আরও কমপক্ষে ৩০০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এটা কেবল একটি হাসপাতালের চিত্র। সিয়াঞ্জুরে আরও চারটি হাসপাতাল রয়েছে। ভূমিকম্পে ধসে পড়া ঘরবাড়ির নিচে এখনও অনেকে চাপা পড়ে আছেন। যে কারণে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন হারমান। চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাভার এই কর্মকর্তা।

ভূমিকম্পে ধসে পড়া ঘরবাড়ির নিচে এখনও অনেকে চাপা পড়ে আছেন

এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, সিয়াঞ্জুরের বেশ কিছু বাড়িঘর ও একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

দেশটির আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূপদার্থবিজ্ঞান সংস্থা (বিকেএমজি) জানিয়েছে, সোমবার জাভায় যে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে তাতে সুনামির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন অনুভূত হতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি।

 

 

 

 

 

 

ইত্তেফাক/ডিএস