রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসের গাছগুলোতে পেরেক ঠুকে সাইনবোর্ড-বিজ্ঞাপন টানানো হচ্ছিলো একের পর এক। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) 'রাবি ক্যাম্পাসে পেরেকের যন্ত্রণায় হাজারো গাছ' শিরোনামে 'দৈনিক ইত্তেফাকে' একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তা প্রশাসনের চোখে পড়ে। ফলে পেরেকের যন্ত্রণা থেকে বাঁচাতে ক্যাম্পাসের গাছগুলো থেকে নামানো হচ্ছে ব্যানার-ফেস্টুন।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গাছগুলোতে পেরেক ঠুকে লাগানো সাইনবোর্ড-ব্যানার, ফেস্টুন খুলতে দেখা যায়।
পেরেকের আঘাতে গাছের গায়ে ছিদ্র হয়ে পানি, বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব ঢুকে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। এসব চিন্তা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখে যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, কাজলা গেট, প্যারিস রোড, টুকিটাকি চত্বর, পরিবহন মার্কেট, হলগুলোর সামনে, বিনোদপুর ও রেলস্টেশনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গাছগুলো থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণার সাইনবোর্ড-ব্যানার, ফেস্টুন ও বিজ্ঞাপন খোলা হচ্ছে। এগুলো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচর্যাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। গাছে পেরেক ঠুকলে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এতে তাদের ক্ষতি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব চিন্তা ভাবনা করে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেজন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমরা ইতোমধ্যে গাছগুলো থেকে সাইনবোর্ড-ব্যানার খুলে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছি। গাছ আমাদের অক্সিজেন নিতে সাহায্য করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো শিক্ষার্থী, সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী যেন পেরেক ঠোকে সাইনবোর্ড-ব্যানার না লাগায়, আমরা তাদেরকে নির্দেশন দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যদি কেউ ব্যানার-ফেস্টুন লাগায়, তাহলে গাছে পেরেক ঠোকে লাগানো যাবে না। বাঁশ-রশি ব্যবহার করে টাঙাতে পারবে। নিষেধ করার পরও যদি কেউ গাছে পেরেক ঠুকে সাইনবোর্ড-ব্যানার লাগায়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।