পাকিস্তানের নবনিযুক্ত সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনির বলেছেন, আক্রমণ হলে সেনাবাহিনী দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত রয়েছে। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সবসময়ই প্রস্তুত। আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে মাতৃভূমির প্রতি ইঞ্চি রক্ষায় শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করতে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলকে বিভক্তকারী লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) পরিদর্শন করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তবে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের এমন বক্তব্যের পর ভারত তাৎক্ষণিক-ভাবে মন্তব্যের জবাব দেয়নি বলে জানিয়েছে হিন্দুস্থান টাইমস।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি বলেছিলেন, “ভারতের সরকার কোনো নির্দেশ দেয়ার সাথে সাথে সামরিক বাহিনী তা বাস্তবায়ন করবে। আমরা সবসময় নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত থাকব। সামরিক বাহিনী সবসময় এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রস্তুত থাকবে যে, যুদ্ধবিরতি কখনো ভাঙবে না, আর যদি কখনো ভেঙে যায় তবে তার কঠোর জবাব দেয়া হবে।
আবার অক্টোবরের শেষের দিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তান ভারতীয় দখলকৃত কাশ্মীরের অংশ। পাকিস্তান অবৈধভাবে এই অঞ্চল দখল করে রেখেছে।
কাশ্মীর ৭৪০ কিলোমিটারের নিয়ন্ত্রণ রেখার মাধ্যমে দুই ভাগে বিভক্ত কিন্তু ভারত এবং পাকিস্তান দু দেশই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে। কাশ্মীরকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণ রেখা আইনগতভাবে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক সীমারেখা হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। ১৯৭১ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর সিমলা চুক্তি অনুসারে এই নিয়ন্ত্রণ রেখা প্রতিষ্ঠা করা হয়। সে সময় দুই দেশই এই সীমান্ত রেখাকে সম্মান করে চলার অঙ্গীকার করে কিন্তু পরবর্তীতে প্রায়ই দু'দেশ নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘনের জন্য পরস্পরকে অভিযুক্ত করে আসছে।