বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

উপকূলের শিশুদের জন্য ‘হাতেখড়ি’র পাঠাগার

আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:০১

পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার পৌরশহরে ও মাছুয়ার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের উপকূলীয় শিশুদের জন্য চারটি পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বইপড়া থেকে গ্রামাঞ্চলের শিশু-কিশোররা একপ্রকার বঞ্চিতই বটে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে শিশু-কিশোরদের হাতে বই তুলে দিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্কুলভিত্তিক পাঠাগারগুলো স্থাপন করেছে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। জেলেপল্লির  শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি।

পাঠাগারগুলোকে ঘিরে এখন বই পড়ার আনন্দে মেতেছে ৭ নং খেজুরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮১ নং উত্তর খেজুরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৬ নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৯ নং বকসির ঘটিচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী। প্রতিটি পাঠাগারে শোভা পাচ্ছে শতাধিক বই। শিশুতোষ গল্পের বই, সাধারণ জ্ঞান, ধর্মীয়, সাহিত্য ও বিজ্ঞানের নানা বিষয়ের এসব বই দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রহ করে আসছে হাতেখড়ির সদস্যরা। এসব বই সংগ্রহের পেছনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন লেখক, কবি ও সাহিত্যানুরাগীরা। স্কুল খোলার দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুদের জন্য খোলা থাকে এ পাঠাগারগুলো। শিশুরা বাড়িতে নিয়ে গিয়েও পড়তে পারে বইগুলো।

মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফেরদৌস ইসলাম বলেন, ‘হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এর আগেও তাদের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে জেলে পল্লির অনেক শিশু ও পরিবার।’

৭ নং উত্তর খেজুরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন অধিকারী বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে একটি পাঠাগার স্থাপন করায় আমি এবং আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সবাই আনন্দিত।’

ইত্তেফাক/এসটিএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন