সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

কার্যালয়ে ঢুকে প্রকল্প পরিচালককে মারধরের অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে

আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৩৫

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কার্যালয়ে ঢুকে আড়াইহাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক গোলাম ইয়াজদানীর কক্ষ ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে নগরীর টাইগার পাস এলাকায় চসিক ভবনের চতুর্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযোগ পাওয়া গেছে, কয়েকজন ক্ষুব্ধ ঠিকাদার প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে প্রবেশ করে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা প্রকল্প পরিচালকের নামফলক ও টেবিলের কাঁচ ভেঙে ফেলেন ও তাকে কিলঘুষি মারেন। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে অফিস সহকারী তিলক দে মারধরের শিকার হন।
 
হামলার জন্য প্রকল্পের কাজ না পাওয়া ঠিকাদারদের দায়ী করে মো. গোলাম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের বলেন, ২০-২৫ জন ঠিকাদার অনুমতি না নিয়ে হঠাৎ তার কক্ষে ঢুকে পড়েন। কথাবার্তার একপর্যায়ে তারা তাকে ও অফিস সহকারী তিলক দে’কে কিলঘুষি মারতে থাকেন। তারা টেবিলের কাঁচসহ বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করে ১০ মিনিট পর বের হয়ে যান। 

খুলশি থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।


   
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার ইত্তেফাককে বলেন, আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সিটি করপোরেশনের কয়েকজন চিহ্নিত ঠিকাদারের মধ্যে ভাগবাটোয়রা করে দেওয়ায় সাধারণ ঠিকাদারদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ২০-২৫ জন ঠিকাদারের একটি দল প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে প্রবেশ করেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে ঠিকাদাররা উত্তেজিত হয়ে কক্ষের কিছু জিনিস ভাঙচুর করেছেন। 

জানতে চাইলে বিক্ষুব্ধ এক ঠিকাদার বলেন, পূর্ববর্তী মেয়রদের আমলে সিটি করপোরেশনের বড় বড় কাজ বিভিন্ন ঠিকাদারের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়ার রেওয়াজ ছিলো। কিন্তু বর্তমান মেয়র সেই নিয়ম রহিত করেছেন। এই সুযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাজগুলো একটি অসাধু চক্রের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সাধারণ ঠিকাদাররা বঞ্চিত হচ্ছেন। 

গোলাম ইয়াজদানী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পরিচালক হিসেবে গত বছরের ১৪ আগস্ট তাকে নিয়োগ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। 

ইত্তেফাক/পিও