জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের ৭ কর্মীর বিরুদ্ধে সানভীর ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর এলাকায় মারধরের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী সানভীর ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। সে মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক ছাত্র। পাশাপাশি একটি অনলাইন পোর্টালের জাবি প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের আব্দুল্লাহ আল সাদ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের মিশান শিকদার, মার্কেটিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শহীদ আফ্রিদি, চারুকলা বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের নুরুজ্জামান খান আশিক, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের তুহিন আহমেদ শান্ত, আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগের ৫০তম ব্যাচের আবিদ এবং ইংরেজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক।
অভিযুক্তরা জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সানভীর ইসলাম ও তার বন্ধু সিফাতের সামনে ইংরেজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক, মোহাম্মদ কাওসার ও আশরাফুল ইসলাম মাহি দরজায় ‘লাথি দিয়ে’ কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় সানভীর তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা উদ্ধত আচরণ করেন। পরে সিনিয়ররা এসে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
এ ঘটনার জেরে বেলা তিনটার দিকে হলের বন্ধু ও সিনিয়রদের নিয়ে শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর এলাকায় সানভীরকে মারধর করে। আহত অবস্থায় সানভীরকে তার বন্ধুরা উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী সানভীর ইসলাম বলেন, সামান্য বিষয়ে তাদের সঙ্গে কাটাকাটি হয়। সিনিয়ররা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। তারপরও সিনিয়র ও বন্ধুদের ডেকে এনে আমার ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে এ ঘটনায় প্রক্টর বরাবর পাল্টা অভিযোগ করেছে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা শুধু উপস্থিত ছিলা।, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। তবুও আমাদের নাম জড়িয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। জড়িতরা ছাত্রলীগের কেউ না। তারপরও যদি অভিযুক্ত কেউ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, এ ঘটনায় দু’পক্ষের অভিযোগপত্র পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।