সুইডেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। বরাবরের মতো এবারও দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাঙালিরা যথাযথভাবে দিনটিকে স্মরণ ও নানা আয়োজন করে আসছেন।
দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাঙালিরা সেখানে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করার ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই বিভিন্নভাবে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এবার স্টকহোম সিটি কাউন্সিলের মেয়র ও অন্যান্য প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সম্বনয়ে এবং সুইডেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সংগঠনের সহযোগিতায় একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে অনেক বড় পরিসরে স্টকহোমের কোনো স্থায়ী শহীদ মিনারে।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ বাঙালির একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। এরপর থেকেই বাঙালিদের একুশের চেতনা সারা বিশ্বে প্রসারিত হয়। জাতিসংঘের ঘোষণায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এ দিবস ১৯৫২ সালের একুশে ফ্রেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য বাংলাদেশের মানুষের অভূতপূর্ব আত্মত্যাগের স্বীকৃতি।
এদিকে, এবারের একুশের অনুষ্ঠানে শুরুতেই ভাষা শহীদের স্মরণে শ্রদ্ধা ও আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি' গানটি পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান উদ্যোক্তা স্টকহোম সিটি কাউন্সিলের সদস্য আন্ডার্স অস্টবার্গ এবং প্রধান সমন্বয়কারী ড. কবীর। বিশেষ অথিতি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসুলার আমরিন জাহান ও দ্বিতীয় সচিব আশরাফুল আলম মোহন।
এ সময় বাঙালি কমিনিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ড. ফরহাদ আলী খান, ড. কবির ও শাহ আলম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত সকলের পক্ষ থেকে স্থায়ী শহীদ মিনারের দাবিটি আরও জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে স্টোকহোম সিটি হলে বাংলাদেশি কমিনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজী হুদা, দলিল উদ্দিন, খালেদ চৌধুরী, মহিউদ্দিন লিটন, মাছুম বারী, সিরাজুল হক রানা, কামরুল হাসান, সফিকুল লিটন, কাজী আক্রামুজ্জাম শাহীন, হেদায়েতুল ইসলাম শেলী, ড. নাওয়াজ হোসেন, ডাক্তার শুভ রক্ষিত, আনিস হাসান তপন, খান সালেহ, মিজানুর রহমান, আফসার আহমেদ, জহিরুল হক চৌধুরী, মাসুদ রানা, হাসান মিয়া, আব্দুল্লাহ আল মাসুম, আশিকুর রাজি, আরিফ হোসেন সুমন, জমির উদ্দিন, রায়হান কিবরিয়া, মুক্তাদির বাবু, শাহরিয়ার, নাসির আহমেদ, মিথিলা চোধরী, ইসরাত জাহানসহ আরও অনেকেই।
অনুষ্ঠানের শেষে বাঙালি কমিনিটির পক্ষ থেকে যুবায়দুল হক সবুজ স্টকহলম সিটি কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দের হাতে অমর একুশে শহীদ মিনারের একটি রেপ্লিকা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে লেখা সিআরআই-এর (CRI) প্রকাশিত বই 'Mujib A Nation Rises', Mujib Father of a Nation' Mujib The language of Resistance' এবং সুইডিশ ভাষায় অনুবাদিত জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের বইটি উপহার হিসাবে তুলে দেন।