শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রমজান কাটুক সুস্থতায়

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩, ১৫:২৩

বছর ঘুরে আবার আসছে পবিত্র রমজান। এ সময় চিরায়ত অভ্যাসগুলোর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসও হঠাৎ করেই পাল্টে যায়। রোজা সুষ্ঠুভাবে পালন করার জন্য শরীর সুস্থ থাকা প্রয়োজন। আর রমজানে শরীর সুস্থ রাখতে ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার খাদিজা কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। চলুন জেনে নেই পরামর্শগুলো:

ফতারের খাদ্য তালিকায় সেসব খাবার খাওয়া উচিৎ, যা শরীরের স্বাস্থ্য সুস্থ ও সতেজ রাখে। যেমন- পানি, জুস, শরবত, খেজুর, কলা, পেঁপে, শশা/খিরা, কাঁচা ছোলা, ভেজা চিড়া, খিচুরি, পায়েস, মিষ্টি, হালিম, কাঁচা ফলমূল ইত্যাদি। ইফতারে স্যুপজাতীয় খাবার খেতে পারেন।

রোজার সময় প্রতিদিনের খাবারের তালিকা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। তবে পানি বেশি করে খাওয়া উচিৎ।

রাতে ও সেহরির সময় বেশি করে পানি, ভাত, ডাল, শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম একটু ঝোল করে খেতে পারেন। তবে বেশি মসলা ও তেল কসানো তরকারি খাওয়া উচিৎ না।

শরীর ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ভাজাপোড়া, শুকনো খাবার ও তৈলাক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। খেলেও কম খাওয়া উচিৎ। কারণ, এ জাতীয় খাবার বুকে জ্বালাপোড়া, বদহজম ও গ্যাসের সৃষ্টি করে।

রোজা রেখে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে দূরে থাকুন। বেশি পরিশ্রমের ফলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।

সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে পরিমাণমতো খাবেন।

রোজায় যেসব খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয় সেসব খাবার না খাওয়াই ভালো।

পর্যাপ্ত ঘুমের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা ৭-৮ ঘণ্টার কম ঘুম আপনার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেবে।

সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে পানি কম খাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে ইফতারের সময় হতে সেহরির সময় পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন।

যারা ডায়েট করে থাকেন রোজায় খাবারের পরিমাণ সীমিত বলে তাদের ডায়েট করার প্রয়োজন নেই।

যাদের ডায়েবেটিস আছে তারা সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করবেন। ভুল এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।

যারা বিভিন্ন রোগের জন্য ওষুধ সেবন করেন, তারা রোজা শুরুর আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ইফতার ও সেহরির সময় ঔষধ সেবন করতে পারেন।

ইত্তেফাক/পিএস/এসকে

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন