জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে বালাম বই ও ৫২ ধারা (মানিরিসিট) বই সংকট রয়েছে বলে এই অভিযোগ করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিস জানায়, বালাম বই সংকটের কারণে ২০২১ সাল থেকেই রেজিস্ট্রিকৃত দলিল সংরক্ষণের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আগে কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের ডকুমেন্ট রাখা হতো। এখন দলিল সংরক্ষণের কাজ আটকে আছে। প্রতিমাসে গড়ে প্রায় পাঁচশ দলিল সম্পাদিত হয়। সেই হিসেবে বছরে প্রায় ছয় হাজার দলিল সম্পাদিত হয়। দুই বছরে এই দলিলের সংখ্যা দাঁড়ায় দ্বিগুণ।
সূত্র জানায়, বালাম বইতে সম্পাদিত এই দলিলগুলো নথিজাত করা হয়। দলিল গ্রহীতা বা ক্রেতাকে ৫২ ধারার একটি রশিদ বা টোকেন দেওয়া বাধ্যতামূলক। সরবরাহ না থাকায় নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বাইরে থেকে ৫২ ধারার রশিদ বই প্রিন্ট করতে হচ্ছে। এতে একদিকে অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি যেমন প্রশ্নবিদ্ধ, তেমনি রাষ্ট্রীয় প্রকাশনা কাজের গোপনীয়তারও বিষয় জড়িত। নিরুপায় হয়ে জনস্বার্থে কাজটি করতে হচ্ছে। এতেই শেষ নয়, চলমান দলিল রেজিস্ট্রি কার্যক্রমের অস্থায়ী ভবনেও পানি সরবরাহসহ নানা সংকট চলছে। স্থান এবং কাগজপত্র রাখাও ঝুঁকিপূর্ণ।
সাবরেজিস্ট্রিার পলাশ তালুকদার জানান-আমি যোগদানের পর থেকেই কয়েকবার বালাম বই এবং ৫২ ধারা বইয়ের সংকটের কথা জানিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবগত করেও সুরাহা পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ ১৪ মার্চ’২০২৩ (৯৩ নং স্মারকমূলে) পত্র পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিঞা জানান, বিষয়টি নিয়ে আমিও ঊর্ধ্বতন মহলে কথা বলেছি।